সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। কমবেশি তা সকলেই জানেন। অনেকে তা মেনেও চলেন। শুধু ওজন বশে রাখতে নয়, শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রতি দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা দরকার। অনেকে আবার জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে বেশি ভালবাসেন। মোট কথা, শরীরচর্চা করাটাই আসল। এখন কথা হল, শরীরচর্চা তো করবেন, কিন্তু ঠিক কোন কোন ব্যায়াম করলে উপকার বেশি হবে তা জেনে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, দিনের কোন সময়ে শরীরচর্চা করছেন তা-ও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এজিং’ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে অকালবার্ধক্য ঠেকানো যাবে। শরীরে মেদ জমবে না এবং ক্যালোরিও দ্রত ঝরবে।
নাচ
জুম্বা আসলে নাচের মাধ্যমে করা এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম। এর ভঙ্গিগুলি লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন নৃত্য আঙ্গিকের অনুকরণে তৈরি। বর্তমানে জুম্বা সারা পৃথিবীতেই ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জুম্বার মাধ্যমে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। সালসা ও অ্যারোবিক্সের সংমিশ্রণ রয়েছে জুম্বায়। সঙ্গীতের তালে তালে ঠিক মতো অঙ্গসঞ্চালনা করলেই ভাল ব্যায়াম হয়।
হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং
ওয়ার্ম আপ- ব্যায়াম শুরুর আগে মিনিট পাঁচেক ওয়ার্ম আপ জরুরি। তার জন্য জগিং, ডায়ানামিক স্ট্রেচ, কোয়াড্রিসেপ, সাইড বেন্ড করা যেতে পারে।
স্কোয়াট- চেয়ারে বসার মতো করে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর ও পিঠ সোজা রেখে দাঁড়ানোকেই স্কোয়াট বলে। এই সময় হাত দুটো সামনের দিকে টান টান করে ছড়িয়ে দিতে হয়। তবে স্কোয়াটের অনেক ধরন আছে। সহজ যে পদ্ধতিটি, সেটি দিনে ৩ সেট করে ১২-১৫ বার করলেই ভাল।
আরও পড়ুন:
পুশ আপ- হাত একদম কাঁধের সোজাসুজি রাখতে হবে। হাতের তালু থাকবে উলম্ব ভাবে। তবে যাঁরা সবে ব্যায়ামটি শুরু করছেন, তাঁদের পক্ষে এ ভাবে হাত রাখা একটু অসুবিধাজনক হতে পারে। হাতের পেশির নমনীয়তা বাড়লে ধীরে ধীরে হাত সেই ভাবে রাখা সম্ভব হবে। পুশ আপ করার সময় গোটা শরীর একটি সমান রেখায় থাকা উচিত। আর খেয়াল রাখতে হবে, খুব তাড়াহুড়ো করে এই ব্যায়াম হয় না। ধীরে ধীরে করাই ভাল।
সাইক্লিং
নিয়মিত সাইকেল চালালে গোটা শরীরের ব্যায়াম হয়। বিশেষত সাইকেল চালানোয় কার্ডিওভাস্কুলার ব্যায়াম হওয়ায় হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। নিয়মিত সাইক্লিং রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, পেশি মজবুত করে।
সাঁতার
সাঁতার কাটলে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস সুস্থ থাকে। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা রোজ সাঁতার কাটেন, তাঁদের হার্টের সমস্যাও কমে অনেকখানি। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কিংবা হাঁটু, পায়ের ব্যথা থাকলেও সাঁতার কাটতে পারেন।
হাঁটা
হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। দিনে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটাই একটু হলেও কমিয়ে দিতে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শরীর সচল রাখতে নিয়মিত হাঁটা খুব জরুরি। নিয়মিত হাঁটায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।