কী কী ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না জিমে যাওয়ার আগে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে জিমে যেতে খুব কষ্ট হয়। শারীরিক কসরত করলে খিদেও পায়। তবে শরীরচর্চা করার আগে ভারী কিছু খাওয়া উচিত নয় বলেই শুনে এসেছেন। আবার পুষ্টিবিদদের মত, একেবারে খালিপেটে ব্যায়াম করলেও হিতে বিপরীত হতে পারে। যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে খালিপেটে ব্যায়াম বিপজ্জনক হতে পারে। ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেক দিন। তার পর একমুঠো ছোলা, বাদাম খেতে খেতে বাড়ির সামনে এক পাক দৌড়ে নেন। কিন্তু সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে চট করে একটা রোল, এক প্লেট চাউমিন, বার্গার কিংবা মোমো খেয়েই জিমে ঢুকে পড়েন। ফলে যা হওয়ার, তা-ই হয়। কিছু ক্ষণ ঘাম ঝরানোর পরেই গা গুলোয়, বমি পায়। প্রশিক্ষকেরা বলেন, খালি পেটে জিম করা উচিত নয়। তাই বলে যা খুশি খেয়ে ফেলা যায়, এমনও নয়। পুষ্টিকর ভেবে অনেকেই দুধ-কর্নফ্লেক্স খেয়ে জিম করতে আসেন। এই অভ্যাসও কিন্তু ভাল নয়। আর কী কী ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না জিমে যাওয়ার আগে?
১) প্রক্রিয়াজাত খাবার
ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবারই কিন্তু শরীরচর্চা করার আগে খাওয়া যায় না। এই ধরনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি। যা তৎক্ষণাৎ শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। কিন্তু আদতে লাভ কিছু হয় না।
২) ফাইবারযুক্ত খাবার
কর্নফ্লেক্স, ওট্স, মিলেট জাতীয় খাবার ফাইবারের উৎস। তবে এই ধরনের খাবার খেয়ে শরীরচর্চা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অন্ত্রের গোলমাল ঘটাতে সিদ্ধহস্ত অতিরিক্ত ফাইবার।
৩) মিষ্টি, কার্বোনেটেড পানীয়
শরীরচর্চা করার সময়ে অতিরিক্ত ঘাম ঝরলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। তৎক্ষণাৎ শরীরে তরতাজা ভাব আনতে এনার্জি ড্রিঙ্ক বা কার্বোনেটেড পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকেই। এই ধরনের পানীয় খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়তে পারে। বদলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে জলের উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দেন প্রশিক্ষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy