Advertisement
০৬ মে ২০২৪
BTS

বাড়ি থেকে পালিয়ে ‘বিটিএস’ দর্শন! দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে পাড়ি তিন কিশোরীর, স্বপ্নপূরণ হল কি?

দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড ‘বিটিএস’-এর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে পালাল তিন কিশোরী। তবে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নপূরণ হল কি?

symbolic image.

‘বিটিএস’-দর্শন করতে পালাল তিন কিশোরী। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৪
Share: Save:

জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বিটিএস’-এর সাত সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল তামিলনাড়ুর তিন কিশোরী। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তারা। পুলিশের হস্তক্ষেপেই ঘরের মেয়েরা ঘরে ফেরে।

তবে বিটিএস নিয়ে এই পাগলামি অবশ্য নতুন কিছু নয়। কোরিয়ার এই পপ ব্যান্ড নিয়ে কমবয়সিদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। যে কোনও স্কুলপড়ুয়া কিশোরীর ঘরে উঁকি দিলেই দেখা যেতে পারে দেওয়াল জুড়ে এই ব্যান্ডের গায়কদের ছবি। কিংবা তাঁদের অনুকরণ করেই পোশাক পরে অনেকে। কেউ আবার পড়াশোনার ফাঁকেই সারা ক্ষণ গুনগুন করছে এই ব্যান্ডের গান। সাম্প্রতিক ঘটনা সেই উন্মাদনারই প্রতিফলন।

বিটিএস-ভক্ত ওই তিন কিশোরী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তিন জনেই দক্ষিণ কোরিয়ার এই ব্যান্ডের গান শুনতে অসম্ভব ভালবাসে। তাই তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করে স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার। সেই মতো বাড়ি থেকে অল্প কিছু টাকা সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তারা ঠিক করেছিল, প্রথমে বিশাখাপত্তনম যাবে। সেখান থেকে জাহাজে করে সোজা দক্ষিণ কোরিয়া।

বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রথমে ইরোদ থেকে চেন্নাইয়ের ট্রেনে চাপে তিন জন। চেন্নাই পৌঁছে নানা সমস্যার সম্মুখীন হলেও হাল ছাড়েনি তারা। কিন্তু কোন পথে গেলে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া সহজ হবে, সেটা বুঝতে না পারায় বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত অন্য একটি ট্রেনে উঠে পড়ে। মাঝে কাতপাড়ি স্টেশনে খাবার কিনতে নামে তিন জন। কিন্তু তাদের রেখেই চলে যায় ট্রেন। স্টেশনে তাদের ইতিউতি ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় রেল পুলিশের। তিন জনকে উদ্ধার করে সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই খবর দেওয়া হয় তিন কিশোরীর অভিভাবকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BTS Band
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE