Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
হঠাৎ জেগে কোপ নবান্নের

গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড ৩ স্বাস্থ্যকর্তা

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়নি। এমনকী, শুক্রবার সকালে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে আয়োজিত রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা গোষ্ঠীর বৈঠকেও ওঠেনি উত্তরবঙ্গের ওই বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ। এক রকম হঠাৎই এ দিন দুপুরে উত্তরবঙ্গের এনসেফ্যালাইটিস-পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! গাফিলতির অভিযোগে তিনি এক ধাক্কায় সাসপেন্ড করে দিলেন সেখানকার তিন স্বাস্থ্যকর্তাকে।

করিডরেই ঠাঁই হয়েছে মালদহ থেকে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে আসা এক রোগিণীর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।

করিডরেই ঠাঁই হয়েছে মালদহ থেকে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে আসা এক রোগিণীর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০৩:১৯
Share: Save:

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়নি। এমনকী, শুক্রবার সকালে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে আয়োজিত রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা গোষ্ঠীর বৈঠকেও ওঠেনি উত্তরবঙ্গের ওই বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ। এক রকম হঠাৎই এ দিন দুপুরে উত্তরবঙ্গের এনসেফ্যালাইটিস-পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! গাফিলতির অভিযোগে তিনি এক ধাক্কায় সাসপেন্ড করে দিলেন সেখানকার তিন স্বাস্থ্যকর্তাকে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসকদের একাংশের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি হয়েছে। যাঁদের নেতৃত্বে এনসেফ্যালাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইটা সবে শুরু হয়েছিল, তাঁদের তিন জন একসঙ্গে সরে যাওয়ায় আখেরে ক্ষতিই হবে বলে এই মহলের অনেকের আশঙ্কা।

উত্তরবঙ্গের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় এক মাস ধরে রোগটা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জাপানি এনসেফ্যালাইটিস ও এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ-সহ জ্বরে এক মাসে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা কার্যত অসহায়। হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের কিট ফুরিয়ে গিয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ন্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাহায্য করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এত দিন নবান্নের তরফে তেমন হেলদোল দেখা যায়নি।

এই পরিস্থিতিতে আচমকাই এ দিন দুপুরে নবান্নে সাংবাদিকদের কাছে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন এত দিন নবান্ন বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেয়নি, তার ব্যাখ্যাও দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “উত্তরবঙ্গে যে এই ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে, সে দিকে ওখানকার অফিসাররা নজর দেননি। ঠিক সময়ে খবরও পাঠাননি। এমন একটা খবর চেপে যাওয়া উচিত হয়নি, অন্যায় হয়েছে।” আর তাই দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য-আধিকারিককে (যথাক্রমে সুবীর ভৌমিক ও জগন্নাথ সরকার) সাসপেন্ড করে তাঁদের জায়গায় নতুন লোক দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই ভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপারকেও (অমরেন্দ্রনাথ সরকার) সাসপেন্ড করে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

এ হেন কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। “চন্দ্রিমা (স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য) গত সপ্তাহে চা-বাগানে গিয়েছিল। কিন্তু কেউ ওকে জানায়নি! আমিও চার দিন পাহাড়ে ছিলাম। আমাকেও কেউ বলেনি।” আক্ষেপ করেন তিনি। এ-ও বলেন, “কখনও গাফিলতি হলে আমরা স্বীকার করে নিই। সব কিছু তো আমার পক্ষে জানা সম্ভব হয় না! চন্দ্রিমাই বা জানবে কী ভাবে? কিন্তু এই গাফিলতিও বরদাস্ত করা হবে না। তাই ওই তিন অফিসারকে সাসপেন্ড ও শো-কজ করা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ, শনিবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি উত্তরবঙ্গে পাঠাচ্ছেন।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর ‘শাস্তিমূলক’ সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্নও উঠেছে। যেখানে রোগ নির্ণয়ের যথাযথ পরিকাঠামো নেই, যথেষ্ট সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নেই, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অভিজ্ঞ চিকিৎসক নেই, সেখানে যে তিন অফিসার এনসেফ্যালাইটিসের বিরুদ্ধে সবে লড়াই শুরু করেছিলেন, তাঁদের এক সঙ্গে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা শুনে উত্তরবঙ্গের সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সিংহভাগ কার্যত দিশেহারা। এক জনের আশঙ্কা, “নতুন যাঁরা আসবেন, পরিস্থিতি বুঝতেই তো তাঁদের অনেকটা সময় লেগে যাবে! তাতে রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া থমকে যাবে।”

এনসেফ্যালাইটিস-কবলিত জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলা প্রশাসনও সম্যক বিভ্রান্ত। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা অবশ্য ওঁদের আশঙ্কাকে আমল দিচ্ছেন না। রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্তবাবুর দাবি, কোনও সমস্যা হবে না। “উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের পূর্বতন সুপার সব্যসাচী দাসকে ওখানে ফের দায়িত্বে পাঠানো হচ্ছে” জানিয়েছেন তিনি। মাস আটেক আগে অমরেন্দ্রবাবু কার্যভার নিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমাদেবী জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য-আধিকারিকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ মির্ধাকে, যিনি এখন ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য-আধিকারিক। আর সিউড়ি হাসপাতালের সুপার অসিত বিশ্বাসকে নিয়ে আসা হচ্ছে দার্জিলিঙের মুখ্য স্বাস্থ্য-আধিকারিক করে।

এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল
কলেজে ভর্তি কিসানগঞ্জ থেকে আসা এক রোগী।

এ দিকে সাসপেন্ড তিন অফিসার কর্তব্যে গাফিলতির কথা মানতে চাননি। তাঁদের সহকর্মীদের অনেকের আবার প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়মন্ত্রী গৌতম দেবই বা কেন মুখ্যমন্ত্রীকে দৈনিক পরিস্থিতির রিপোর্ট দেননি? তাঁরা আঙুল তুলেছেন ট্রপিক্যালের বিজ্ঞানীদলের দিকেও, যাঁরা কিনা উত্তরবঙ্গ ঘুরে এসে স্বাস্থ্য ভবনকে রিপোর্ট দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে না? পাশাপাশি চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, “স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে কোনও খবর নেই! কাজেই দায় তো তাঁর উপরেও বর্তায়!”

গৌতমবাবু-চন্দ্রিমাদেবীদের কী অভিমত? গৌতমবাবুর দাবি, “ভিতরে ভিতরে পরিস্থিতি যে এতটা সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে, সে খবর আমাকে দেওয়া হয়নি। আমার তাই পরিষ্কার ধারণা ছিল না।” আর প্রতিমন্ত্রীর হয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। “চন্দ্রিমা জানত না। না-জানলে কী করবে?” পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, “বাড়িতে কী রান্না হচ্ছে, বৌ কিংবা মা না-বললে জানতে পারেন? যাঁদের খবর দেওয়ার কথা, তাঁদের গাফিলতি থাকলে মন্ত্রী কী করবেন?”

এ দিন সকালে নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা গোষ্ঠীর বৈঠকের পরে স্বাস্থ্য-অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর মন্তব্যে কিন্তু মনে হয়নি যে, এনসেফ্যালাইটিস-পরিস্থিতি এতটা গুরুতর! কেন সকালের বৈঠকে এ প্রসঙ্গে আলোচনা হল না জানতে চাওয়া হলে বিশ্বরঞ্জনবাবু বলেছিলেন, “এনসেফ্যালাইটিস এখনও এ রাজ্যে বিপর্যয় বা মহামারির চেহারা নেয়নি। তাই কথা হয়নি।” ঠিক ক’জনের মৃত্যু হলে বা কত জন আক্রান্ত হলে বিপর্যয় বলা যেত? অধিকর্তার ব্যাখ্যা, “এমন কোনও মাপকাঠি নেই। পোলিওর ঘটনা একটা পাওয়া গেলেই সেটা বিপর্যয়। এ ক্ষেত্রে নয়। আক্রান্তের সংখ্যা বিচারে এ বছর এনসেফ্যালাইটিসের আক্রমণ আগের বছরের চেয়ে বেশি নয়। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। একটি মৃত্যুও আমাদের কাছে দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সব রকম ভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করছি।”

মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনসেফ্যালাইটিস প্রসঙ্গ উহ্য থাকার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা ‘সক্রিয়তা’ ঘিরে তাই জল্পনা চলছে। নবান্ন-সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের ক্যাবিনেটে গৌতম দেব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এনসেফ্যালাইটিস প্রসঙ্গ না-তোলায় তিনি উত্তরবঙ্গের দলীয় সহকর্মীদের একাংশের প্রশ্নের মুখে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গ থেকে দলীয় স্তরে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, এনসেফ্যালাইটিস-পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি। কী ভাবে রোজ মৃত্যু বাড়ছে এবং মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, সে সম্পর্কেও নবান্নকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। অন্য দিকে গৌতমবাবু দাবি করেছেন, “এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলাদা ভাবে বিশদে কথা হয়েছে। উনি কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই মতো কাজ করছি।”

ঘটনা হল, এ দিন সকালের বিমানে গৌতমবাবু যখন কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছন, তখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের আঁচ টের পাননি। কী ভাবে পেলেন?

নবান্ন-সূত্রের খবর: শিলিগুড়ি পৌঁছনোর পরে গৌতমবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর কাছে মমতা জানতে চান, কেন তিনি ঠিক তথ্য দেননি? গৌতমবাবু বলেন, পরিস্থিতি যে এতটা খারাপ, সেটা তাঁকেও জানানো হয়নি। এ প্রসঙ্গেই তিনি দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির দুই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপারের ‘অসহযোগিতা’র কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে তোলেন। এবং তখনই মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারেন, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত ছিল, তা দেখা হয়নি। স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের কাছে তিনি ঘটনাটা জানতে চান।

স্বাস্থ্য দফতরের খবর: গত ১৫ জুলাই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে চা-বাগান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, সঙ্গী ছিলেন জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য-আধিকারিক। কিন্তু তিনি চন্দ্রিমাদেবীকে কিছুই জানাননি বলে অভিযোগ। ‘অজানা জ্বরের’ কথা চন্দ্রিমাদেবী প্রথম শোনেন এক সাংবাদিকের মুখে। এমনকী, স্থানীয় মন্ত্রী গৌতমবাবুও চন্দ্রিমাদেবীর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। প্রতিমন্ত্রী ১৬ জুলাই কলকাতায় ফিরে স্বাস্থ্যভবনকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। তখনই ধরা পড়ে, অজানা জ্বর দেখা দিলে যে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়, তা-ও জারি হয়নি। ১৭ তারিখ রাতে স্বাস্থ্যভবন বিশেষ পরিদর্শকদল পাঠায়। উল্লেখ্য, ১৬ থেকে ১৯ জুলাই খোদ মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিঙে ছিলেন। অথচ তাঁকেও নাকি এ ব্যাপারে কেউ একটা কথাও বলেনি!

মমতা এতেই বিস্তর চটেছেন। প্রাথমিক ভাবে তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করে তিনি সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে নবান্ন-সূত্রের ইঙ্গিত। এ দিন নবান্নে স্বাস্থ্য-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাশেই নেপাল-ভুটান-বিহার। সেখান থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিঙের সমতলে রোগ দেখা দিয়েছে। গত ছ’মাসে ৭১ জন মারা গিয়েছেন। তবে আশার কথা, আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোনও সহায়তা চাইছেন কি? মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, “এ সব ক্ষেত্রে আমি কেন্দ্র-রাজ্য করি না। কেন্দ্রের দল এসে ঘুরে গিয়েছে। যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে ওরা খুশি। এখন আমাদের যা আছে, তাতেই কাজ চলে যাবে। দরকার পড়লে ওদের সাহায্য চাইব।”

ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

health officer Suspend negligence encephalitis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE