ফলের মধ্যে আপেল, কমলালেবু, কলা, পেয়ারা বা বেদানার মতো ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে বেশ মাতামাতি হয়। কিন্তু সেই দৌড়ে আতা বেশ পিছিয়েই রয়েছে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আতা যে শুধু আইসক্রিমের স্বাদ বদলের জন্যই ভাল, তা নয়। এই ফলের কিন্তু নানাবিধ পুষ্টিগুণও রয়েছে। ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে আতায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা— আতার কিন্তু গুণের শেষ নেই। রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে আতা ‘স্টেবিলাইজ়ার’ হিসাবে কাজ করে। তা ছাড়া, আতার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। তাই ডায়াবিটিস থাকলেও এই ফল খাওয়া যায়। রক্তে হঠাৎ শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে যে ধরনের বিপদ হয়, তা এড়িয়ে চলা যায় আতা খেলে। গুণ অনেক, খেতেও মন্দ নয়, তবুও আতার নাম শুনলেই অনেকেই খেতে চান না। কারণ একটাই, আতার মধ্যে থাকে অসংখ্য বীজ। খাওয়ার সময় যা বার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায়।
আতাও খাওয়াও হবে, আবার বীজ ছাড়ানোর ঝক্কিও থাকবে না, এমনটা কি সম্ভব? আতার বীজ ছাড়িয়ে ফেলতে পারেন মাত্র ২ মিনিটে। প্রথমে আতা দু’টুকরো করে নিয়ে তার শাঁস একটি মিক্সির মধ্যে নিয়ে নিন। প্রয়োজনে একের বেশি আতার শাঁস নিয়ে নিন। এ বার কয়েক সেকেন্ডের জন্য মিক্সি ঘুরিয়ে নিন। দেখবেন, আতার ক্বাথ আর বীজ একেবারে আলাদা হয়ে গিয়েছে। একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে বাটিতে ভরে ডিপ ফ্রিজে কিছু ক্ষণ। তার পর ফ্রিজ থেকে বার করে উপভোগ করুন আতা। ইচ্ছে করলে সেই আতা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন আতার পায়েস কিংবা আইসক্রিম।