সামনেই দীপাবলি। দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। দীপাবলির উপলক্ষে বাড়িঘর সাজানোর তোড়জোর ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠছে বাড়ির আনাচকানাচ। তবে দীপাবলি মানে শুধু প্রদীপ বা মোমবাতি নয়, এর সঙ্গে রঙ্গোলিও আছে। ইদানীং বাড়ির দুয়ারে বিভিন্ন নকশার রঙ্গোলি দেওয়ার চল বেশ বেড়েছে বাঙালিদের মধ্যেও। কখনও ময়ূরের নকশা, তো কখনও ফুলের নকশা সঙ্গে প্রদীপের আলোর রোশনাই— দীপাবলির সজ্জায় চমক আনতে এই দুইয়ের মিশেলই যথেষ্ট। ছোটদের মধ্যে রঙ্গোলি বানানোর উৎসাহ বিপুল। বাজারে কিংবা অনলাইনে নানা রঙের রঙ্গোলি কিনতে পাওয়া যায়। তবে সেগুলিতে রাসায়নিক রং মেশানো থাকে। বাড়িতেই কী ভাবে এই রং ভেষজ উপায়ে তৈরি করবেন, রইল হদিস।
১) হলুদ
হলুদ আর বেসন মজুত থাকে সব বাঙালি হেঁশেলেই। চার ভাগ বেসন ও এক ভাগ হলুদ ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হলুদ রং। বেসন না থাকলে চালের গুঁড়োর সঙ্গেও মেশানো যেতে পারে হলুদ। সঙ্গে একটু বালি মিশিয়ে নিলে রঙ্গোলি আঁকতে সুবিধা হবে।
২) সবুজ
পালং শাক বেটে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে নিয়ে গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তরল মিশ্রণটি বড় ট্রে-তে রেখে এক কাপ কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে নিন। কোনও মণ্ড যাতে না থাকে, সে দিকে নজর রাখুন। এ বার মিশ্রণটি রোদে শুকিয়ে হাতে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রং। মিশ্রণে খানিকটা বালি অবশ্যই মিশিয়ে নেবেন।
৩) গোলাপি
বিটের রস তৈরি করে ভাল করে ছেঁকে নিন। এক কাপ বিটের রস নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল দিন। মিশ্রণটির সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার বা চালের গুঁড়ো খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি রোদে কিংবা মাইক্রোঅয়েভে শুকিয়ে নিন। এ বার হাত দিয়ে ভাল ভাবে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গোলাপি রং। খুব সূক্ষ্ম গুঁড়ো চাইলে মিশ্রণটি মিক্সিতেও ঘুরিয়ে নিতে পারেন। ভেষজ গোলাপি রঙের সঙ্গে বালি মিশিয়ে নিতে ভুলবেন না।
৪) সাদা
চালের আটা গুঁড়ো করে সঙ্গে সামান্য মাত্রায় বালি মিশিয়ে নিলেই আপনি সাদা রং পেয়ে যাবেন। রঙিনের মাঝে সাদার কারুকাজ থাকলে রঙ্গোলির নকশা নজরকাড়া হয়। তাই বেরঙিন হলেও এই রংটি বানাতে ভুলবেন না।