পাঁচ বছরের রূপ সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছে। মর্নিং স্কুল। তাই প্রতি দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে কারও সঙ্গে দেখা হলে সে ‘গুড মর্নিং’ বলে না। ওইটুকু ছেলে সাফ জানিয়ে দেয়, তার মর্নিং মোটেই ‘গুড’ নয়। বরং ‘ব্যাড’। সকালে উঠতে মোটে ভাল লাগে না তার।
একই অবস্থা বছর পঁচিশের তরুণ-তরুণী কিংবা চল্লিশ বছরের পেশাদারেরও। সকালে অফিস। বছরের পর বছর যাচ্ছেন। তবু সাত সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়। কেউ অ্যালার্ম মিস করে ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ চোখ খুলেও বিছানা ছাড়তে পারেন না। ফলে অফিস-স্কুল-কলেজে দেরি।
ঘুম থেকে ওঠার ওই কঠিন কাজটি যদিও সহজ হতে পারে। তার জন্য সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে—
১। ঘুম থেকে ওঠার কাঙ্খিত সময়টিতে ধীরে ধীরে পৌঁছন। অর্থাৎ যদি সকাল ৬টায় উঠতে হয় তবে প্রথম দিনই ৬টায় ওঠার চেষ্টা না করে দিন সাতেক ধরে ১৫ মিনিট করে পিছিয়ে ওই সময়ে ওঠার অভ্যাস করুন।
২। সকালের আলো চোখে পড়ে এমন ব্যবস্থা করুন এবং প্রতি দিন ঘুম থেকে ওঠার পরে ছাদে বা বারান্দায় বা নিদেনপক্ষে জানলার সামনে দাঁড়িয়ে বাইরের আলো দেখুন।
৩। সকালে এমন কোনও একটি কাজ রাখুন, যেটা করতে আপনার ভাল লাগে। সেই কাজ করার আগ্রহই আপনাকে জেগে উঠতে সাহায্য করবে।
৪। অ্যালার্মের ঘড়ি বা ফোন হাতের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য বিছানা থেকে উঠতে হয়।
৫। ঘুমনোর আগের ৬ ঘণ্টায় চা-কফি না খাওয়া। ঘুমনোর আগের অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল বা ল্যাপটপের পর্দায় চোখ না রাখার অভ্যাস করতে হবে। বদলে ঘুমনোর আগে কোলাহল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে বই পড়া যেতে পারে।