বাড়িতে কোনও পার্টি হোক বা কারও জন্মদিন, স্টার্টারে কবাব-তন্দুরি ছাড়া ভূরিভোজ জমে না। ছোট থেকে বড় তন্দুরি চিকেন, ফিশ প্রায় সকলেরই পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে। বাড়িতে তন্দুরি বানানো সহজ। তাই অনেকেই অতিথি এলে এই পদটি বানিয়ে ফেলেন। তবে বাড়িতে বানানো তন্দুরির স্বাদে দোকানের ছোঁয়া মেলে না। জেনে নিন রান্নার সময়ে কোন টোটকা মেনে চললে, বাড়িতে বানানো কবাব-তন্দুরিতে আসবে দোকানের মতো স্বাদ।
আরও পড়ুন:
১) তন্দুরি চিকেন আর কবাব বানানোর সময়ে যত ক্ষণ আগে থেকে মশলা মাখিয়ে রাখবেন, ততই ভাল হবে স্বাদ। অন্তত দু’ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে মাছ, মাংস বা পনির। তন্দুরি বানানোর সময়ে দই ব্যবহার করতে হয়। সেই দইয়ে যেন কোনও রকম জল না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যত বেশি সময় মশলা মাখিয়ে রাখবেন, ততই নরম হবে কবাব, তন্দুরি।
২) কবাব বানানোর সময়ে মাছ, মাংস কিংবা পনিরের আকার যেন একই রকম হয়, সে দিকে নজর রাখুন। তন্দুরি চিকেন বা ফিশ বানানোর সময়ে অনেকেই গোটা মাছ কিংবা মাংসতে মশলা মাখিয়ে রান্না করেন। তবে ছোট টুকরো করে কেটে নিলে মাছ, মাংসের ভিতরে মশলাও ভাল করে ঢুকবে আর রান্না করতেও কম সময় লাগবে।
কবাব-তন্দুরি বানানোর সময়ে রান্নার মাঝেমাঝে একটি ব্রাশে মাখন নিয়ে মাছ, মাংসের গায়ে মাখাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বাড়িতে তন্দুর থাকে না। তাই কেউ গ্যাসের উপর তাওয়া রেখে কিংবা মাইক্রোওয়েভ অভেনে তন্দুরি বানান। সে ক্ষেত্রে তন্দুরের সেই পোড়া ভাব আসে না। তাই তন্দুরি বা কবাব রান্নার পর একটি পাত্রে সেগুলি রেখে তার ভিতরে একটি ছোট পাত্র রাখুন। ছোট পাত্রের উপর একটি জলন্ত কয়লা আর কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে সামান্য ঘি ঢেলে দিন। ধোঁয়া উঠতে শুরু করলে বড় পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ভাল করে ঢেকে দিন। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই মাছ, মাংসের মধ্যে পোড়া গন্ধ চলে যাবে।
৪) কবাব-তন্দুরি বানানোর সময়ে রান্নার মাঝেমাঝে একটি ব্রাশে মাখন নিয়ে মাছ, মাংসের গায়ে মাখাতে হবে। তা হলেই কবাব বা তন্দুরি নরম আর রসাল হবে।
৫) অতিরিক্ত সময় ধরে মাছ, মাংস রান্না করলে কবাব কিংবা তন্দুরি বেশি শক্ত ও ছিবড়ে হয়ে যাবে। তাই কবাব, তন্দুরি খুব বেশি ক্ষণ রান্না না করাই ভাল।