৩০ বছর পুরনো ভ্রূণ থেকে জন্ম। ছবি- ইন্সটাগ্রাম।
সপ্তাহখানেক আগেই পৃথিবীর আলো দেখেছে যমজ ভাই-বোন লাইডা এবং টিমোথি। কিন্তু জন্মেই তাদের বয়স একেবারে ৩০-এর ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। তাই জন্ম থেকেই খ্যাতির শীর্ষে এই দুই ভাই-বোন!
ফিলিপ এবং র্যাচেল রিজওয়ে আরও চার সন্তানের অভিভাবক। তবু বৃহত্তর পরিবার গ়ড়ে তোলার লক্ষ্যে র্যাচেল ‘আইভিএফ’ পদ্ধতিতে ফের গর্ভধারণ করেছিলেন।
নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এখন অনেকেই ডিম্বাণু, শুক্রাণু, এমনকি ভ্রূণকেও সুপ্ত অবস্থায় রাখেন। ফিলিপ এবং র্যাচেলের উদ্দেশ্য ছিল তেমনই একটি ভ্রূণকে জীবন দিয়ে, বন্দিদশা থেকে মুক্ত করা।
৩৫ বছর বয়সি ফিলিপ, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “এই পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উৎসাহিত ছিলাম। কিন্তু সবচেয়ে পুরনো ভ্রূণের জন্ম দিয়ে রেকর্ড গড়ার কোনও উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।”
‘ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টার’ হল এমন একটি সংস্থা, যেখানে চাইলেই কোনও পুরুষ বা মহিলা তাঁদের ভ্রূণকে সুপ্ত অবস্থায়, বহু দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। ভবিষ্যতে ইচ্ছুক কোনও দম্পতি চাইলেই সেখান থেকে ভ্রূণের মান, বয়স এবং অভিভাবক সম্পর্কে জেনে ভ্রূণ পছন্দ করতে পারেন। তার জন্য কোনও অর্থ বিনিময়ের প্রয়োজন পড়ে না।
সেখানে গিয়ে রিজওয়ে দম্পতি জানতে পারেন এমন একটি ভ্রূণের কথা, যা ১৯৯২ সাল থেকে সুপ্ত অবস্থায় ছিল। শোনা মাত্রই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। সেই দেশে ভ্রূণ নেওয়ার ঘটনা নতুন না হলেও, ৩০ বছর পুরনো ভ্রূণের জন্ম দেওয়া নিঃসন্দেহে এই প্রথম। এই বছরই অক্টোবরের ৩১ তারিখ যমজ সন্তানের জন্ম দেন র্যাচেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy