একটা বয়সের পরে ব্লাড সুগার ধরা পড়ার ঘটনা আমাদের কাছে পরিচিত। তবে এই চেনা ছবিটা গত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে। ডায়াবিটিসের চোখরাঙানি মানছে না বয়স। আগে মনে করা হত, কম বয়সে টাইপ ওয়ান এবং চল্লিশোর্ধ্বদের টাইপ টু ডায়াবিটিস দেখা যায় সাধারণত। এখন ছোটদের মধ্যেও টাইপ টু ডায়াবিটিস দেখা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যায়। মূলত লাইফস্টাইল ডিজ়র্ডার, চাইল্ডহুড ওবেসিটি বেড়ে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ।
টাইপ ওয়ান ও টু-এর তফাত
যাঁদের শরীরে কোনও ইনসুলিন তৈরিই হয় না, তাঁদের টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিসের প্রবণতা দেখা যায়। সেটার কারণ জিনগত হতে পারে। টাইপ টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজ়িসট্যান্স দেখা যায়। অর্থাৎ প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন উৎপন্ন করলেও তা বিভিন্ন কোষে গিয়ে কাজ করতে পারে না। এর ফলে প্যানক্রিয়াস আরও বেশি করে ইনসুলিন তৈরি করতে থাকে। এ ভাবে যখন প্যানক্রিয়াস বিটা সেলগুলি আর কাজ করে না, তখন রিলেটিভ ইনসুলিন ডেফিশিয়েন্সি দেখা দেয়। অর্থাৎ, যতটা পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হওয়া দরকার, ততটা হয় না। এই অবস্থাই টাইপ টু ডায়াবিটিস।
উপসর্গ ও রোগ নির্ণয়
ডায়াবিটিস ও এন্ডোক্রিনোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. অভিজিৎ চন্দ জানালেন, টাইপ টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে গলা শুকিয়ে যাওয়া, বারবার প্রস্রাবের পাশাপাশি চোখের পাওয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন, জেনিটাল ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ‘‘গর্ভবতী নন, এমন রোগীদের ফাস্টিং ১২৬-এর উপরে হলে এবং র্যান্ডম ২০০-র উপরে হলে এবং সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকলে আমরা ডায়াবিটিস বলে ধরে নিই। টেস্টে অ্যান্টিবডি যদি পজ়িটিভ হয় এবং সি পেপটাইড খুব কম থাকে, তখন আমরা নির্ধারণ করি যে, এটি টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিস। আবার, টাইপ টু-র ক্ষেত্রে দেখা যাবে, সি পেপটাইড নর্মাল, অ্যান্টিবডি নেগেটিভ,’’ বললেন ডা. চন্দ।