শ্বেতা তিওয়ারি। ছবি: সংগৃহীত
হিন্দি ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ শ্বেতা তিওয়ারি। ‘কসৌটি জিন্দেগি কি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন। তবে ২০০৯ সালে একটি রিয়্যালিটি শোয়ে বিকিনি পরে তাকে দেখতে পাওয়ার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল সারা দেশে। সেই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘ইস জঙ্গল সে মুঝে বঁচাও।’ সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরে আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শ্বেতা। মাত্র ১৩ দিনের মাথায় সেই অনুষ্ঠান থেকে শ্বেতা বাদ পড়লেও ওই একটি ভিডিয়োতেই মেদহীন তন্বী শ্বেতা নজর কেড়ে নিয়েছিলেন দর্শকের। তার পর থেকে কয়েকটি ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে কাজ করেছিলেন তিনি।
ছেলে রেয়াংশের জন্মের পর থেকে টেলিভিশনের পর্দায় কিছু দিন আর দেখা যায়নি শ্বেতাকে। তার অন্যতম কারণ ওজন বেড়ে যাওয়া। দ্বিতীয় বার মা হওয়ার পর শ্বেতার ওজন বেড়ে ৭৩ কেজি হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত ওজনের কারণে কাঁধের সমস্যাতেও ভুগতে শুরু করেন। কিন্তু তখনই অভিনেত্রীর কাছে ‘হম তুম অ্যান্ড দেম’ ধারাবাহিকে কাজ করার প্রস্তাব আসে। সেই ধারাবাহিকের চরিত্রের জন্য ওজন ঝরানোর প্রয়োজন ছিল। তখনই বড় মেয়ে পলক তিওয়ারির উৎসাহে রোগা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন শ্বেতা। যোগাযোগ করেন জিম প্রশিক্ষকের সঙ্গেও।
কেমন ছিল শ্বেতা তিওয়ারির রোগা হওয়ার পর্ব?
মেদ ঝরিয়ে রোগা হতে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো শ্বেতা খাওয়াদাওয়ায় বড়সড় বদল এনেছিলেন। প্রতি দিনের খাবারে থাকত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার। প্রচুর পরিমাণে জল খেতেন। পাশাপাশি, শরীরচর্চাতেও সমান জোর দিয়েছিলেন। জিমে গিয়ে ওজন তোলা, কার্ডিয়ো করা তো ছিলই। সেই সঙ্গে বাড়িতে যোগাসন, ধ্যান, প্রাণায়ম করতেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ৭৩ কেজি থেকে ৬৩-তে আসেন শ্বেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy