মদ কার শরীরে কেমন প্রভাব ফেলবে তা আগে থেকে বলা যায় না। ছবি: সংগৃহীত।
বড়দিন, বর্ষবরণ উদ্যাপন করতে গিয়ে লাগামছাড়া মদ্যপান করেছেন। তার প্রভাব শরীরই জানান দিচ্ছে। সপ্তাহান্তে টুকটাক মদ্যপান করলেও তার পরিমাণ ছিল সীমিত। এ বারের মতো বাড়াবাড়ি হয়তো হয়নি। কার কতটা পরিমাণ মদ খাওয়া উচিত, তা বুঝবেন কী করে? চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রত্যেকের শরীরের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই কতটুকু মদ কার শরীরে কেমন প্রভাব ফেলবে, সে কথা আগে থেকে বলা যায় না। কিন্তু মাসখানেকের জন্য যদি মদ খাওয়া বন্ধ রাখতে পারেন, তা হলে সকলের শরীরেই কম-বেশি প্রভাব পড়বে।
কয়েক সপ্তাহ মদ খাওয়া বন্ধ রাখলে শরীরের কী কী পরিবর্তন চোখে পড়ে?
১) প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল করবেন, তা হল ঘুম। অতিরিক্ত মদ খেলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়। ফলে শারীরবৃত্তীয় সমস্ত কাজকর্ম পণ্ড হয়। কয়েক সপ্তাহ মদ না খেলেই অনিদ্রাজনিত সমস্যা কমে আসবে।
২) যে কোনও প্রকার মদে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। তাই এক মাস যদি কেউ মদ না খেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে মেদ ঝরাতে সুবিধে হতে পারে।
৩) যাঁরা অতিরিক্ত মদ্যপান করেন, তাঁদের ‘সিরোসিস অফ লিভার’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপান বন্ধ করে দিলে লিভার আবার নিজের ছন্দে ফিরে আসতে পারে।
৪) অতিরিক্ত মদ্যপান করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীর গায়ে সেই কোলেস্টেরল বা চটচটে পদার্থগুলি জমতে থাকে। ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। পর্যাপ্ত রক্ত হৃদ্যন্ত্রে না পৌঁছলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫) লাগামছাড়া মদ্যপান একটা বয়সের পর স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। ডোপামাইনের মতো হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। হঠাৎ মদ্যপান বন্ধ করলে ডোপামাইন ক্ষরণের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে, বিষণ্ণতা বা মনখারাপ লাগার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy