বদ্ধ ঘরের বাতাসে মিশে থাকে ধূমপানের ধোঁওয়ার নানা উপাদান। ছবি: সংগৃহীত
যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের কী কী ক্ষতি হয়, সে কথা বেশির ভাগ মানুষই জানেন। কিন্তু যাঁরা পরোক্ষ ভাবে ধূমপান করেন, তাঁদের ক্ষতি কতটা— সেটি অনেকেরই অজানা। নানা গবেষণা বলছে, পরোক্ষ ধূমপান এবং সরাসরি ধূমপানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সমান। এরই মধ্যে হালে উঠে এসেছে আরও একটি বিষয় ‘তৃতীয় স্তরের ধূমপান’ বা ‘থার্ড হ্যান্ড স্মোকিং’। এই ধূমপানে ক্ষতির পরিমাণ নাকি পরোক্ষ ধূমপানের চেয়েও বেশি। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
কী এই তৃতীয় স্তরের ধূমপান?
বদ্ধ ঘর বা গাড়ির মধ্যে ধূমপান করলে, সেই বাতাসে মিশে যায় ধূমপানের ফলে তৈরি হওয়া নানা রাসায়নিক। যা বাতাসে ভেসে থাকা ধূলিকণা, দূষিত পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সেই ঘরে পরবর্তী সময়ে কেউ ঢুকলে, তিনি হয়তো খালি চোখে ধোঁয়া দেখতে পান না, কিন্তু ধূমপানের ফলে তৈরি হওয়া ক্ষতিকারক রাসায়নিক তাঁর শরীরে ঢুকতে থাকে। একেই বলা হচ্ছে তৃতীয় স্তরের ধূমপান।
পরোক্ষ ধূমপানের সময়ে নিজে ধূমপান না করলেও অন্যের ধূমপানের ধোঁয়া মানুষের শরীরে ঢোকে। ধূমপায়ীর যা যা ক্ষতি হয়, পরোক্ষ ধূমপানেও তার সমপরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু তৃতীয় স্তরের ধূমপানে ক্ষতি বেশি হতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ ধূমপানের ধোঁয়ার চাইতেও বিক্রিয়ার ফলে তৈরি হওয়া ভাসমান কণাগুলি আরও ক্ষতিকারক বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। এগুলি ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তাই বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাড়িতে শিশু বা ধূমপায়ী নন এমন সদস্য থাকলে, যে সব ঘরে তাঁদের যাতায়াত— সেখানে ধূমপান করবেন না। তাঁদের বিপদের আশঙ্কা আরও বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy