রোজ না হলেও এক এক দিন এমন অঘটন ঘটে যায়। সাবধান হওয়া বা সতর্ক হওয়ার সুযোগ মেলে না বড় একটা। বাড়ির কোনও কাজ করতে গিয়ে বা কোনও কিছু জুড়তে গিয়ে ফেভিকুইক জাতীয় জোরালো আঠা নিয়ে কাজ করছিলেন হয়তো। হাত ফসকে হঠাৎ সেই আঠা পড়ল হাতে! এমন পরিস্থিতিতে প্রথমেই মাথা ঠান্ডা রাখা দরকার।
খেয়াল রাখতে হবে, আঠা যেন কোনও ভাবেই কোনও কিছুর সঙ্গে জুড়ে না যায়। কোনও কাপড়, প্লাস্টিক, এমনকি হাতে পড়লে অন্য আঙুল দিয়ে সরানোর চেষ্টা না করাই ভাল। এই ধরনের আঠা এতটাই জোরালো হয় যে, ত্বকও জুড়ে যেতে পারে। তাই সাবধান। আঠায় অন্য জিনিস না জুড়ে গেলেও আঠার আস্তরণ হাতে লেগে থাকতে পারে। যা অস্বস্তিকর তো বটেই তা থেকে ত্বকের সমস্যাও হতে পারে।
কী করবেন?
১। ঈষদুষ্ণ জলে সাবান গুলে তার মধ্যে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এতে আঠা আলগা হতে পারে। মিনিট দশেক পরে হালকা হাতে ব্রাশ দিয়ে ঘষে দেখতে পারেন।
২। এতেও লাভ না হলে তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি বা বডি লোশন জাতীয় জিনিস লাগিয়ে দেখতে পারেন নির্দিষ্ট জায়গাটিতে। কিছু ক্ষণ রেখে দিলে তেল আঠাকে আলগা করতে পারে।
৩। সুপারগ্লু জাতীয় অত্যন্ত জোরালো আঠা হলে অ্যাসিটোন জাতীয় নেলপলিশ রিমুভার কাজে লাগতে পারে। একটি তুলো ওই তরলে ভিজিয়ে থুপে থুপে লাগান আঠার উপরে। কয়েক মিনিট ধরে এটা করতে থাকলে আঠা নরম হতে পারে।
৪। এতেও কাজ না হলে এবং দু’দিনের মধ্যে আঠার আস্তরণ ত্বক থেকে না উঠলে কোনও ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কী করবেন না?
১। জোর করে টেনে আঠার আস্তরণ তোলার চেষ্টা করবেন না। তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
২। যদি আঠা যেখানে লেগেছে সেখানে বা তার আশপাশে কাটা-ছেঁড়া থাকে বা র্যাশ জাতীয় কোনও ত্বকের সমস্যা থেকে থাকে তবে অ্যাসিটোন ব্যবহার করবেন না।
৩। স্ক্রচবাইট, পিউমিক স্টোন দিয়ে জোরে ঘষাঘষি করবেন না। বরং যদি তেল-সাবান-অ্যাসিটোন ব্যবহার করে আঠা উঠে যায়, তবে অবিলম্বে জায়গাটি ময়েশ্চারাইজ় করুন।