বাবা, জ্যাঠা, ঠাকুর্দা যাঁর দিকেই তাকান না কেন মাথা জোড়া টাক। বয়স ৩৫ পেরোতেই আপনারও মাথার সামনের দিক খালি হতে শুরু করেছে? সময় নষ্ট না করে এখনই জেনে নিন হেয়ার উইভিং বা ট্রান্সপ্লান্টের খুঁটিনাটি। অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় খান্না, হর্ষ ভোগলে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সকলেই করে নিয়েছেন। আপনিও চট করে জেনে নিন বিশদে।
হেয়ার উইভিং ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পার্থক্য কী?
হেয়ার উইভিং- এটা অনেকটা পরচুলার মতো ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে মাথার যেই অংশে টাক পড়েছে সেখানে কৃত্রিম বা সিন্থেটিক চুল ক্লিপ বা চুল সেট করার অন্য কোনও অ্যাক্সেসরি দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়।
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট- হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টে সম্পূর্ণ ন্যাচারাল চুল ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ন্যাচরাল চুল টাক পড়ে যাওয়া অংশে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই চুল স্বাভাবিক ভাবে বাড়বে, পড়ে যেতে পারে, কাটা যাবে, নিয়মিত তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার লাগিয়ে চুলের যত্ন নিতে হবে।
সুবিধা-অসুবিধা
দু’টো পদ্ধতিরই কিছু সুবিধা যেমন আছে, কিছু অসুবিধাও আছে।
হেয়ার উইভিং-
১। এই পদ্ধতির জন্য চিকিত্সকের প্রয়োজন নেই।
২। যন্ত্রনা কম
৩। সহজে করা যায়।
৪। খরচ কম
৫। চুল বাড়বে না বা পড়ে যাবে না
৬। দেখতে ন্যাচরাল না লাগলেও চুল ঘন লাগবে
হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট-
১। অভিজ্ঞ চিকিত্সকের প্রয়োজন
২। যন্ত্রনাদায়ক তাই অ্যানাসথেশিয়ার প্রয়োজন হয়
৩। সহজে করা যায় না। অন্তত দুই থেকে তিনটি সিটিংয়ের পরই চিকিত্সক প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।
৪। চুল বাড়বে, কাটা যাবে, পড়বে।
৫। দেখতে ন্যাচরাল লাগলেও প্রথমে বেশি ঘন হবে না। পরে নতুন চুল গজিয়ে ঘন দেখাতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে আপনার চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ওপর।
৬। খরচ বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy