গর্ভাবস্থায় খিদে পাওয়ার সময়ের সঙ্গে মুখের স্বাদও বদলায়। ছবি: শাটারস্টক।
গর্ভবতী অবস্থায় শরীরের অবস্থার যেমন ওঠাপড়া লেগে থাকে, তেমনই জিভের স্বাদেরও রদবদল ঘটতে থাকে সময়ে সময়ে। সাধারণত হবু মায়ের ডায়েট চার্টে যেমন পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান থাকে, তেমনই চকিৎসকরাও কখও সখনও তাঁদের পছন্দসই কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে অবশ্যই তা ভীষণই পরিনিত পকরিমাণে।
এই স্বাদের অদল বদলের জন্য খাদ্যাভ্যাসেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যায়। গর্ভবতী অবস্থায় বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার প্রতি টান থাকে। কারও আইসক্রিম, চকোলেট খেতে ইচ্ছে হয়। কেউ আবার ঝাল খাবার বা আচার খেতে চান। কিন্তু কেন এই খাবারগুলি খেতে ইচ্ছে হয় এই সময়ে?
চিকিৎসকদের মতে, এই খাবারের ইচ্ছের নেপথ্যে শুধুই স্বাদকোরকের অবদান আছে এমন নয়, বরং শরীরের নানা পরিবর্তনের জন্যই এমন স্বাদের প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
আরও পড়ুন: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে এই মারণ অসুখ, এ সব উপসর্গ দেখলেই সাবধান!
গর্ভাবস্থায় শরীর গরম হয়ে যায়। তাই এই সময় শরীর ঠান্ডা করার জন্যই ঝাল খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। ঝাল খাবার খেলে ঘাম হয়। ঘাম ঝরে গেলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় টক ও আচারের প্রতি মহিলাদের বিশেষ টান থাকে। আচারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও অম্ল থাকে বলেই টক খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়। শরীরে সোডিয়াম ও অম্লের চাহিদাও এই সময় বেড়ে যায়। গর্ভবতী মহিলাদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতিও একটি বেশি ঝোঁক থাকে। এর মধ্যে আইসক্রিম অন্যতম। এই সময়ে শরীর ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন হয়। আইসক্রিমে অনেক পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। তার জন্যই আইসক্রিমের প্রতি বিশেষ টান অনুভব করেন মহিলারা।
আরও পড়ুন: গরমে যখন তখন স্নান ডেকে আনছে ভাইরাল ফ্লু, কী ভাবে রুখবেন?
চিকিৎসকরা অনেক সময় ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন।
চকোলেটের প্রতিও বিশেষ টান থাকে মহিলাদের এই সময়ে। শরীরে শর্করার প্রয়োজন থাকে এই সময়। চকোলেটে ফ্যাটের পাশাপাশি শর্করাও থাকায় এই সময় চকোলেটের প্রতি টান বাড়ে। তবে চিকিৎসকরা ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ এতে ফ্লাভনয়েড থাকে, যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের কাজ করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে নানা রকমের অস্বস্তি থাকে। এই অস্বস্তি দূর করতে মহিলারা এমন খাবার খেতে চান যা শরীরকে আরাম দেয়। পিনাট বাটার এদের মধ্যে অন্যতম। প্রসূতীদের রেড মিট খাওয়ার প্রতিও এই সময়ে বিশেষ আকর্ষণ দেখা যায়। কারণ রেডমিট শরীরে এই সময়ে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে। তবে চিকিৎসকরা বেশি রেড মিট খেতে না করেন, কারণ এতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy