বুড়ো হতেই যত অনীহা। যৌবন যদি ধরে রাখা যায় আরও কয়েকটা বছর, তা হলে বেশ হয়। বয়সের কাঁটা বিপরীত দিকে ঘোরাতে যত রকম সম্ভব গবেষণা হয়ে চলেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। লক্ষ্য দু’টি— আয়ু বাড়বে এবং যৌবন নিয়েই দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকা যাবে। বার্ধক্য ঠেকাতে একেবারে জিন স্তরে গিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, আয়ু বাড়াতে হলে খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া ভীষণ জরুরি। শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি কতটা স্বাস্থ্যকর খাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। খাওয়ার প্লেটে বুদ্ধি করে ছোট কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেই, জীবনে বড় বদল আসতে পারে, আয়ুও বেড়ে যেতে পারে।
ক্যানসার চিকিৎসক অঙ্কিত বনসলের মতে, ডায়েটে বদল আনলেই ১০ বছর পর্যন্ত আয়ু বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসক বলেন, ‘‘জীবনে অতিরিক্ত ১০ বছর বাঁচতে হলে সাপ্লিমেন্ট নয়, হেঁশেলের উপকরণেই ভরসা রাখতে হবে।’’
আয়ু বৃদ্ধি করতে হলে কী কী খেতে হবে?
১) মজানো খাবার: পেট ভাল রাখতে মজানো খাবার বা ফার্মেন্টেড ফুডের জনপ্রিয়তা ইদানীং বেড়েছে। এই ধরনের ফার্মেন্টেড খাবারের মধ্যে ভাল ব্যাক্টেরিয়া পরিমাণ বেশি থাকে। তা অন্ত্র ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই হজমের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের টকদই, ছাঁচ, ঘোল, বাটারমিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসক বনসলের মতে পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখলেই আয়ু বাড়তে পারে।
২) রঙিন ফল: দীর্ঘায়ু পেতে হলে ডায়েটে রঙিন ফল রাখতে হবে। চিকিৎসকের মতে, আমলকি, বেরি জাতীয় ফলে ভাল মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা ডিএনএ-কে ভাল রাখে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়।
৩) বাদাম: ডায়েটে বাদাম আর বীজ রাখতে হবে। চিকিৎসকের মতে, রোজের ডায়েটে কাঠবাদাম, আখরোট বা সূর্যমুখীর বীজের মতো উপকরণগুলি রাখলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমবে, ফলে আয়ু বাড়বে।
চিকিৎসকের মতে কেবল দীর্ঘ আয়ুর কথা ভাবলেই হবে না, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর, রোগহীন জীবন, শরীর চাঙ্গা রাখার কথাও মাথায় রাখা জরুরি। তাই খাওয়ার প্লেটে ছোট ছোট বদল আনতে হবে।