কাচার জন্য ভরসা ওয়াশিং মেশিন। ছবি: শাটারস্টক।
জামাকাপড় ধোওয়ার কাজ সহজ করে দিতে প্রযুক্তি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে ওয়াশিং মেশিন। সাধারণত, ভারী থেকে হালকা নানাবিধ পোশাকই ওয়াশিং মেশিনের মাধ্যমে ধোওয়া-কাচা করে থাকি আমরা।
এতে শ্রম যেমন কমে, তেমনই কাচাকুচির মানও ভাল হয়। অনেকেই পোশাককে আরও ধোপদুরস্ত করতে ওয়াশিং মেশিনে কাচলেও কিছুটা হাতের ব্যবহার সেখানেও করেন। এটাই সাধারণ ভাবে ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহারের ছবি।
অনেকে কেবল জামাকাপড়ই নয়, ঘরের ব্যবহৃত পর্দাও কাচেন মেশিনে। কিন্তু জানেন কি, এমন অনেক জিনিসই চার পাশে রয়েছে, যাদের পরিষ্কার করতে ওয়াশিং মেশিনের শরণ নিতেই পারেন আপনি। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সব দ্রব্য এ ভাবে পরিষ্কার করার কথা ভাবিই না। দেখে নিন কোন কোন জিনিস পরিষ্কার করার শ্রম কমিয়ে সহজেই ওয়াশিং মেশিনে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: আপনি বা কাছের কেউ ক্যানসারে আক্রান্ত? কী ভাবে মানসিক লড়াই চালাবেন এই অসুখের সঙ্গে?
কাপড়ের যে কোনও জুতো পরিষ্কার করতে যন্ত্রের শরণ নিতেই পারেন।
খেলার সরঞ্জাম: নিজের বা বাড়ির কোনও সদস্যের খেলাধুলোর সরঞ্জাম আপনি সহজেই ওয়াশিং মেশিনে দিতে পারেন। জার্সি তো বটেই, টুপি, গ্লাভস, প্যাড, হ্যান্ডব্যান্ড ইত্যাদি আপনি পরিষ্কার করতেই পারেন ওয়াশিং মেশিনে। স্লো ওয়াশিং সাইকেল পদ্ধতিতে ও হালকা ক্ষারযুক্ত কোনও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এই ধোওয়াকাচা সারুন।
বাজারের ব্যাগ: বাজারের ধুলো-কাদায় ব্যাগ নোংরা হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। সঙ্গে কাঁচা শাক-সব্জির ও মাছ-মাংসের দাগেও ব্যাগ নোংরা হয়। চটের বা কাপড়ের তৈরি ব্যাগও কাচুন ওয়াশিং মেশিনে।
রান্নাঘরের সরঞ্জাম: ওভেনের মুখের রাবারব্যান্ড হোক বা টেবিল ম্যাট, কাটাকুটি করার রবারের জায়গা— এ সবও ওয়াশিং মেশিনে কাচুন নিশ্চিন্তে। ঠান্ডা জল ব্যবহার করেই কাচুন এ সব।
আরও পড়ুন: ওয়াশিং মেশিন তো ব্যবহার করছেন, এ সব নিয়ম মানছেন?
গৃহস্থালীর সরঞ্জাম: যোগাসন করার ম্যাট, পাপোশ, মাউজ প্যাড এ সবও অনায়াসেই কাচতে পারেন ওয়াশিং মেশিনে। তবে এ সব কাচার সময় কখনওই গরম জল ব্যবহার করবেন না। কম ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট ও ঠান্ডা জলেই পরিষ্কার করুন এদের।
জুতো: হ্যাঁ, ওয়াশিং মেশিনেই কেচে নিতে পারেন জুতোও। কাপড়ের যে কোনও জুতো পরিষ্কার করতে যন্ত্রের শরণ নিতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy