Advertisement
E-Paper

একই দিনে দুই প্রসূতির মৃত্যু, উত্তপ্ত হাসপাতাল

একই দিনে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন সাজিনা বেগম (২৬) ও লতা হাজরা (১৮)। সাজিনার বাড়ি গোঘাটের বিরামপুর গ্রামে। অন্য দিকে লতার বাড়ি আরামবাগের গৌড়হাটির হাজরা পাড়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৬

একই দিনে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন সাজিনা বেগম (২৬) ও লতা হাজরা (১৮)। সাজিনার বাড়ি গোঘাটের বিরামপুর গ্রামে। অন্য দিকে লতার বাড়ি আরামবাগের গৌড়হাটির হাজরা পাড়ায়।

পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৭ টা নাগাদ ওই প্রসূতিকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা ১১ টা তাঁকে সিজারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি একটি পুত্র সন্তানও প্রসব করেন। বাড়ির লোকের অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, ছেলে ও মা দুজনেই ভালো আছেন। কিন্তু নবজাতককে এসএনসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রসূতিকে কেন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না তা জানতে চাওয়া হলে তাঁদের বলা হয় প্রসূতির অবস্থা ভালো নয়। তাই তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে রাখা হয়েছে। এই শুনে তাঁরা প্রসূতিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সও ভাড়া করা হয়। তখন নার্সরা জানান, প্রসূতি মারা গিয়েছেন। তাই শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে এই আশঙ্কায় হাসপাতাল থেকে পুলিশকে জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে চলে আসে। মৃতার স্বামী শেখ হামিদ মিদ্যা সাংবাদিকদের জানান, “চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। দোষ ঢাকতে আমাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।” যদিও মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে এ দিন সন্ধে পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মৃতদেহের ময়না-তদন্তও করা হয়নি।

অন্য দিকে, লতাদেবীর পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই তাঁকে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রাত ৮টা নাগাদ চিকিৎসকরা লতাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার পরিবারের লোকেরাও চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। মৃতার স্বামী সুনীলবাবু বলেন, “অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।” পুলিশ জানিয়েছে, লতাদেবীর পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।

হাসপাতালের সুপার শান্তনু নন্দী বলেন, “প্রসবের সময় ওই দুই প্রসুতির প্রচণ্ড খিঁচুনি হচ্ছিল। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাউকেই বাঁচানো যায়নি।” হাসপাতাল চত্বরে রাত পর্যন্ত উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

arambag hospital sajina begam lata hazra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy