Advertisement
E-Paper

বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ বন্ধ বাগানে

ডুয়ার্সের বন্ধ থাকা রহিমাবাদ চা বাগানে বুধবার রাতে এক শ্রমিকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চা শ্রমিকের নাম ঝামান ধানোয়ার (৩৮)। তাঁর বাড়ি বাগানের গির্জা লাইনে। এই নিয়ে গত দশ দিনে বিনা চিকিৎসায় পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে আরএসপি-র ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৯

ডুয়ার্সের বন্ধ থাকা রহিমাবাদ চা বাগানে বুধবার রাতে এক শ্রমিকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চা শ্রমিকের নাম ঝামান ধানোয়ার (৩৮)। তাঁর বাড়ি বাগানের গির্জা লাইনে। এই নিয়ে গত দশ দিনে বিনা চিকিৎসায় পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে আরএসপি-র ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক দাস। তাঁর অভিযোগ, “বারবার চিঠি দিয়ে বলার পরেও বন্ধ চা বাগানে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়নি। মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হলেও অভিজ্ঞ চিকিৎসক রাখা হচ্ছে না।” তিনি জানান, এই অবস্থার জেরে বিনা চিকিৎসায় পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হল। দীপকবাবুর দাবি, এর আগে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বাবলু বড়াইক (৫৫), কুসু পায়েক (৪২), জোসেফ মুন্ডা (৬০) ও ঝালো ওঁরাও-এর (৫০)। অথচ স্বাস্থ্য দফতর মৃত্যুর খবর গোপন করার চেষ্টা করছে।

কুমারগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ বিশ্বাস অবশ্য বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে ভুগছিলেন ঝামানবাবু। চার দিন শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থেকে দু’দিন আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। বাগানে প্রতিদিন মেডিক্যাল ক্যাম্প করে শ্রমিকদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আগেও যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা সবাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন।

কিন্তু মৃত শ্রমিকের স্ত্রী বিজলি ধানোয়ারের অভিযোগ, “বাগান বন্ধ তাই সব সময় চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না। সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিতে পারলে হয়তো স্বামীকে বাঁচাতে পারতাম।” ৯ ডিসেম্বর শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে মালিকপক্ষ সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস দিয়ে বাগান ছেড়ে যায়। বিডিও শিলাদিত্য চক্রবর্তী জানান, বাগান বন্ধ হওয়ার পরো সমস্ত শ্রমিকদের সরকারি ভাবে ১২ কেজি করে দু’দফায় চাল বিলি হয়েছে। ১০০ দিনের কাজও হচ্ছে।

no treatment dooars rahimabad tea garden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy