Advertisement
E-Paper

বহির্বিভাগ বন্ধের বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি

বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের মুখে লেখা রয়েছে পুজোয় শুধু অষ্টমীর দিনই ছুটি। অথচ এ বার ওই হাসপাতালের দেওয়ালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বহির্বিভাগ পুজোয় লম্বা বন্ধ থাকার একটি বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৪৮
বিষ্ণুপুর হাসপাতালে।—নিজস্ব চিত্র।

বিষ্ণুপুর হাসপাতালে।—নিজস্ব চিত্র।

বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের মুখে লেখা রয়েছে পুজোয় শুধু অষ্টমীর দিনই ছুটি। অথচ এ বার ওই হাসপাতালের দেওয়ালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বহির্বিভাগ পুজোয় লম্বা বন্ধ থাকার একটি বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতাল সুপার বন্ধের ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন বলে উল্লেখ করলেও বুধবার তিনি তা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রোগী ও তাঁদের পরিজনদের বিভ্রান্তিতে হয়েছে। অনেকে ফিরেও গেলেন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে। এ দিকে, এ দিনও কিছু চিকিৎসককে বহির্বিভাগে পাওয়া যায়নি। ফলে রোগীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। বিষ্ণুপুরের জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে চোখ দেখাতে এসেছিলেন মেনকা বাউরি। তাঁর ক্ষোভ, “ছেলেকে নিয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে যাতায়াত করছি। কিন্তু কবে ডাক্তারবাবু বসবেন বুঝতে পারছি না। হাসপাতালের কর্মীরাও কিছু জানাতে পারছেন না।” একই অভিজ্ঞতা জয়পুর থানার বৈতল গ্রামের বৃদ্ধা লতিকা ঘোষেরও। তিনিও বলেন, “হাসপাতালে এসে ডাক্তার পাব না, ভাবতেই পারিনি! বাধ্য হয়ে না দেখিয়েই ফিরতে হচ্ছে।”

চিকিৎসকদের না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল সুপারের চেম্বারে বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা বিষ্ণুপুরের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে গেল, অথচ চক্ষু, অস্থি, শিশু, সার্জিক্যাল ও মেডিসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বহির্বিভাগ বন্ধ! পুজোয় একদিন ছুটি যেখানে বরাদ্দ, সেখানে টানা এত দিন এই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বন্ধ রাখা হয় কী করে?”

এই বিজ্ঞপ্তি জারির কথা বুধবার জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। হাসপাতাল সুপার সুভাষচন্দ্র সাহা ওয়ার্ড মাস্টারকে ডেকে বিষয়টি জানতে চান। তিনি বলেন, “আমাকে না জানিয়ে কী ভাবে ওই বিজ্ঞপ্তি হাসপাতালের দেয়ালে সাঁটা হল, বুঝতে পারছি না।”

পরে তিনি বলেন, “পুজোয় আগে মহাষ্টমীর দিন ছুটি ছিল। এ বার দশমীর দিনও ছুটি ঘোষিত হয়। কিন্তু একটানা ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর বিশেষজ্ঞ বহির্বিভাগ বন্ধের কথা ভাবাই যায় না। ওই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে আমি ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি।” তিনি জানান, বহির্বিভাগে না বসায় চার চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়েছে। পরে ওই বিজ্ঞপ্তি ছিঁড়েও ফেলা হয়।

bishnupur hospital outdoor close
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy