তালাবন্ধ কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের সিসিইউ।—নিজস্ব চিত্র।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও চালু হয়নি কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ। গত ৩ জুলাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে রিমোটে জেলা সদর হাসপাতালের ইউনিটের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসপাতাল চত্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান করায় বিতর্কের সৃষ্টিও হয়। তার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও সিসিইউ-র সদর দরজায় এখনও তালা ঝুলছে। কবে ইউনিটটি চালু করা হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানালেন শীঘ্রই সিসিইউ-র পরিষেবা মিলবে।
এমজেএন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সিসিইউ চালু করার আগে তা সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করা জরুরি। কারণ উদ্বোধনের দিন অনুষ্ঠানের পর অতিথি ছাড়া অত্যুত্সাহীরা অনেকে ইউনিটের ভিতরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু সিসিইউকে জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ওষুধ কোচবিহারের বাজারে মিলছিল না। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থেকে ওষুধ আনা হয়েছে। কিন্তু এ দিন দুপুরের পর ওষুধ পৌঁছনোয় তা স্প্রে করা সম্ভব হয়নি। আজ, শুক্রবার গোটা ইউনিট চত্বর জীবাণুমুক্ত করার কাজ হবে। কাজ সম্পূর্ণ হলে নিয়ম মেনে ২৪ ঘণ্টা তা বন্ধ রাখতে হবে। তাই শনিবারের আগে এই পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা নেই। তার পরেও অবশ্য সমস্যা মিটছে না। এই ইউনিটের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা চার জন চিকিত্সকের মধ্যে এক জন ছুটিতে। ফলে অনিশ্চয়তা কাটছে না। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা েই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আগামী সোমবারের মধ্যে সিসিইউ চালুর চেষ্টা হচ্ছে।”
গুরুতর অসুস্থদের চিকিত্সার জন্য কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালের হেরিটেজ ভবনের একাংশ সংস্কার করে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালে কর্মরত চার জন চিকিত্সক এবং আট জন নার্স ইতিমধ্যে সিসিইউ পরিচালনার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে দুই মাসের প্রশিক্ষণ নেনে। হাসপাতালের এই ইউনিটে শয্যা সংখ্যা ১২।
সরঞ্জাম বিলি। মত্স্য চাষ দিবস উপলক্ষে ২০ মাছ চাষিকে হাড়ি, জাল, পোনা ও মাছ সংরক্ষণ বাক্স বিলি করল হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতি। বৃহস্পতিবার সমিতির হলঘরে মাছ চাষের গুরুত্ব, পদ্ধতি নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে পঞ্চায়েত সমিতি। তাতে সভাপতি সৌমিতা সরকার, জেলা মত্স্য সম্প্রসারণ আধিকারিক অনুপ সামন্ত সহ সমিতির কর্তারা হাজির ছিলেন।
সফল অস্ত্রোপচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
সামান্য হাঁটাচলাতেই শ্বাসকষ্ট হত। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধানবাদের বাসিন্দা রাজেন্দ্র সিংহের। কলকাতায় এসে হৃদ্রোগ চিকিৎসককে দেখিয়ে জানতে পারেন, যে রক্তনালী শরীরে শুদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়, সেটাই ফুলতে শুরু করেছে তাঁর। ডিসান হাসপাতালের ডাক্তারেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফুলে যাওয়া রক্তনালী বাদ দিয়ে কৃত্রিম রক্তনালী ও ভাল্ভ বসিয়ে নতুন জীবন দিলেন তাঁকে। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘বেন্টল প্রসিডিওর’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy