Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Monsoon Special

বৃষ্টি, আমি ও ছাতা

বিকালে বৃষ্টি থামলেও আকাশের মুখ ভার। বেরিয়ে পড়লাম ছাতা নিয়ে— লেখিকা ঝুমা মুখোপাধ্যায়

ছবি: ঝুমা মুখোপাধ্যায়

ছবি: ঝুমা মুখোপাধ্যায়

সংগৃহীত প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২২ ০৭:৩৯
Share: Save:

সেদিনও সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি পড়ছিল। কলেজ যেতে ইচ্ছা করছিল না। অলস দুপুরে খিচুড়ি, ডিম ভাজা খেয়ে অঙ্ক বই-খাতা নিয়ে বসে গেলাম জানলার ধারে টেবিলে। বড্ড প্রিয় এই জায়গাটা। বর্ষার জল পেয়ে গাছগুলো কেমন সতেজ, সবুজ হয়েছে। পুকুরে জলবিন্দু কী সুন্দর বৃত্তের আকার নিচ্ছে। দেখতে দেখতে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম।

আজই অঙ্কের টিউশন স্যার থ্রিডি জিওমেট্রি শুরু করবেন। বিকালে বৃষ্টি থামলেও আকাশের মুখ ভার। বেরিয়ে পড়লাম ছাতা নিয়ে।

ব্যাচের আর কাউকে দেখতে না পেলেও একজন সবজান্তার মতো খাতা-পেন নিয়ে গভীর মনোযোগে অঙ্ক করছে। তার মানে স্যর আজ কম করে দু ঘন্টা পড়াবে?

ক্লাস শেষে দেখি ‘সবজান্তা’ আমার সঙ্গেই হাঁটছে আমার ছাতায়। দু’জনেই ভিজছি জলের ছিটেতে। জানি না কেন সেদিন ছাতাটা ওকে দিয়ে ভিজে ভিজে বাড়ি এসেছিলাম নিজে।

ব্যাস জ্বর-সর্দিতে দশদিন ভুগলাম। পরে স্যরের কাছ থেকে ছাতাটা পেয়েছিলাম। কিন্তু কোনওদিন তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি। তবে ছাতায় আটকানো ছিল এক লাইনের চিরকুট।

“ধন্যবাদ ! সেদিনের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা সারাজীবন মনে থাকবে।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আষাঢ়ের গল্প’ কনটেস্ট থেকে সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE