বৃষ্টির সঙ্গে প্রেমের একটা চিরকালীন যোগ রয়েছে। এই প্রেম নিঃসন্দেহে নারী পুরুষের। প্রসঙ্গ হল, সিনেমাটোগ্রাফিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে প্রেম বৃষ্টিকে সাক্ষী করে বা সঙ্গে নিয়ে। বাস্তব জীবনে প্রেমের প্রকাশ কখনও শান্ত, ধীর; কখনও বা আদিম। কিন্তু বাস্তবকে রিল বন্দি করার সময় কতটা সাবালক হয় প্রেমের পট? বস্তুত বাংলা সংস্কৃতির একটা প্রতিফলন থাকে বাংলা সিনেমাতে। অবশ্য সব আঞ্চলিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রেই বিষয়টা মোটামুটি একই।
প্রাচ্যের দেশের সিনেমার মতো যৌনতার প্রদর্শন বাংলা সিনেমায় হয় না। তা ছাড়া সেন্সর বোর্ডেরও একটা নির্দেশিকা আছে। ছবিতে যৌনতা কতটুকু, কী ভাবে দেখানো হবে সে নিয়ে। পরিচালকদেরও একাংশ দাবি করেন, অনেক বাংলা সিনেমা যথাযথ যৌনতা দেখানো হয়নি বলে সঠিক মানের হয়ে উঠতে পারেনি। তা ছাড়া ছবির প্রয়োজনে অভিনেত্রীর শরীর প্রদর্শন নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে এই বাংলায়। সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণ ঘোষ, গৌতম ঘোষ থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত থেকে রাজ চক্রবর্তী – সমস্ত পরিচালকেরাই ছবিতে প্রেমের দৃশ্যে যথেষ্ট যত্নশীল থেকেছেন বাঙালি মননের দিকে তাকিয়ে।
“সোনার খাঁচা”