সংঘর্ষে এক সশস্ত্র দুষ্কৃতীরও মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বিহারে ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে খুন, তোলাবাজি, গ্যাং ওয়ার। গত রাতে সিওয়ানে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করেছে আরজেডির বাহুবলী নেতা তথা সিওয়ানের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের এক ভাইপোকে। মুজফ্ফরপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যা করে পালানোর সময়ে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রকাশ্য রাস্তায় ‘এনকাউন্টার’ হয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের। সংঘর্ষে এক সশস্ত্র দুষ্কৃতীরও মৃত্যু হয়েছে।
ক্রমাগত বেড়ে চলা অপরাধ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত রাতে সিওয়ানের টাউন থানার দক্ষিণ মহল্লায় মহম্মদ ইউসুফকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি হুসেনগঞ্জ থানার প্রতাপপুরের বাসিন্দা। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে সাহাবুদ্দিনের সমর্থকরা ভিড় করেন। রাস্তা অবরোধ করা হয়। তবে ইউসুফের হত্যা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে দুই গোষ্ঠীর বিরোধের ফল বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।
পাশাপাশি, গত কাল মুজফ্ফরপুরের আহিয়ারপুরে তিন দুষ্কৃতী এক পরিবহণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করে। বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসটিএফ বাহিনী হাজির হয়। তাড়া খাওয়া এক দুষ্কৃতী বাসের মধ্যে লুকিয়েছিল। সেখানেই গুলিযুদ্ধে মারা যায় সে। বাকি দু’জন পালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, গয়ার ওয়াজিরগঞ্জের বাসিন্দা বীরেন্দ্র দাস (৫০)-কে গুলি করে খুন করে তাঁর দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আজ রাস্তা অবরোধ করেন।
রাজ্যে বেড়ে চলা অপরাধ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চিঠি লিখেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, আরজেডির তেজস্বী যাদব। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপরাধীদের ‘মদত’ দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তেজস্বী বলেন, “রাজ্যে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীদের আশ্রয় দিতেই বেশি উৎসাহী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy