Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Republic Day

পরপর বিস্ফোরণ ডিব্রুগড়ে

প্রজাতন্ত্র দিবসে চারটি বিস্ফোরণে কাঁপল উজানি অসম। তবে কেউ হতাহত হননি।

ডিব্রুগড়ে বিস্ফোরণস্থলে পুলিশকর্মীরা। ছবি: পিটিআই

ডিব্রুগড়ে বিস্ফোরণস্থলে পুলিশকর্মীরা। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০২
Share: Save:

প্রজাতন্ত্র দিবসে চারটি বিস্ফোরণে কাঁপল উজানি অসম। তবে কেউ হতাহত হননি। প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করে বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল আলফা স্বাধীন। কড়া প্রহরা, তল্লাশির ব্যবস্থা হয়েছিল গোটা রাজ্যে। বিশেষ করে উজানি অসমের জেলাগুলিতে আলফার গতিবিধি বেশি থাকায় সতর্কতা ছিল। সতর্ক ছিল সেনাও। কিন্তু তার পরেও এড়ানো গেল না বিস্ফোরণ। আলফা স্বাধীনই বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে।

এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ জানান, আজ সকালে তিনটি বিস্ফোরণ হয় ডিব্রুগড়ে। একটি হয় চড়াইদেও জেলায়। তিনসুকিয়ার ডুমডুমা থেকেও বিস্ফোরণের খবর এসেছিল। পরে জানা যায় খবরটি ঠিক নয়। বিস্ফোরণগুলি মিনিট দশেকের মধ্যেই হয়েছে। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে চড়াইদেও জেলার সোনারিতে। টিওকঘাট এলাকায় একটি দোকানের সামনে গাছের নীচে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিক সন্দেহ, কম ক্ষমতার আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর পর ডিব্রুগড়ের গ্রাহাম বাজার ও এটি রোডে গুরুদ্বারের সামনে আরও দু’টি গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়। অন্য বিস্ফোরণটি ঘটে তৈল শহর দুলিয়াজানের দুলিয়াজান তিনিআলিতে। সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরেই থানা।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে নীল রঙের মোটরবাইকে আসা দুই যুবক গ্রেনেড ছুড়ে পালায়। গত বছর গুয়াহাটির জু রোডে একটি শপিং মলের সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরে আলফা সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া জানিয়েছিলেন, আলফা ভবিষ্যতে সাধারাণ মানুষের সমাগম থাকা জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটাবে না। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ দিন বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, পবিত্র দিনে মানুষের মনে খামোকা আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।

আরও পড়ুন: শাহিনবাগে দাদিরা বললেন, বাঁচাতে হবে দেশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Republic Day Blast Assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE