—ফাইল চিত্র।
আমুর বাজ সংরক্ষণে মণিপুরের মুখ রাখল ইরাং ও পুচিং। গত বছর আমুরের যাত্রাপথে নজরদারির জন্য বাছাই করা পাঁচটি বাজের শরীরে ‘স্যাটেলাইট ট্র্যাকার’ লাগানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ফালং ও চিউলুয়ান পাঁচ দিন পরেই উধাও হয়। তাদের আর ট্র্যাক করা যায়নি। সম্ভবত তাদের শিকার করা হয়েছিল। বরাকের সিগন্যাল এই বছর ২৯ মার্চ পর্যন্ত মিলেছিল। তার পর যাত্রাপথে সাইক্লোনের জেরে সে-ও হারিয়ে যায়।
রাজ্যে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আওয়াংবাও নেওমাই জানাচ্ছেন, ইরাং ও পুচিং কিন্তু একেবারে গত বছরের রাস্তা অনুসরণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মঙ্গোলিয়া ফিরেছিল। তার পরে এ বছর ফের মঙ্গোলিয়া থেকে মণিপুরের তামেংলং জেলায় পুচিং গ্রামে আমুর ফ্যালকনদের ঝাঁকের সঙ্গেই হাজির হয়েছে। ফলে গোটা পরিযায়ী চক্রের ৪০ হাজার কিলোমিটার যাত্রাপথ সম্পূর্ণ করায় তাদের ট্র্যাকিং সফল হয়েছে। স্থানীয় রংমেই ভাষায় আমুর বাজের নাম ‘আখোইপুইনা’। মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষ আমুর শিকারের বদলে আমুর সংরক্ষণে যেমন সচেতন হয়েছেন, সেই সাফল্য এ বার রাজ্যে ধনেশ প্রকল্প ও ব্যাঘ্র প্রকল্প সফল করার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়েছে। আমুর শিকার কমেছে লোকটাক সরোবরেও। এ বছর অনেক বেশি পরিযায়ী পাখি লোকটাকে আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy