কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। -ফাইল ছবি।
সামনে ভোট। তাই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করার পরেও সৌজন্য দেখানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না মার্কিন মুলুকে চিকিৎসা করাতে যাওয়া কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। জবাবে ধন্যবাদটুকুও না জানিয়ে তাঁর ব্লগে বরং তুলোধোনা করলেন কংগ্রেসকে। এক বারও নাম নিলেন না রাহুলের।
মঙ্গলবার আমেরিকা রওনা হন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জেটলি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘‘গপ্পো যাঁরা বানান, মিথ্যা রটান, তাঁরা জানেন সেটা গপ্পোই। তবু বলতে হয়, বলেন। তা দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী হচ্ছে জেনেও তাঁরা নিজেদের মতো করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। ওঁরা কারও দুর্নীতিকে ঢাকা-চাপা দিয়ে তাঁকে ধর্মযোদ্ধা বানিয়ে দিতে পারেন। নিজেদের প্রয়োজনে ওঁদের দ্বিচারিতা করতে বাধে না।’’ তাঁর কথায়, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মহাত্মা গাঁধীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, কর্মসূচিতে এই ভাবেই খুঁত ধরতেন বামপন্থীরা।
তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বেশ কয়েকটি ঘটনার তালিকাও দিয়েছেন জেটলি। উল্লেখ করেছেন বিচারপতি বি এইচ লয়লার মামলা, রাফাল বিতর্ক, সিবিআই ইস্যু, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিতর্কের কথা। জেটলি লিখেছেন, ‘‘এই প্রত্যেকটি ইস্যুতে কংগ্রেস প্রকাশ্যে যা যা বলেছে, ওরা নিজেরাও জানে, তা বলতে হয় বলেই বলছে। বিচারপতি বি এইচ লয়লার মৃত্যু হয়েছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, ওরা সব জেনেশুনেও বলতে লাগল, খুন। রাফাল ইস্যুও তাই। আদালতের রায়ের পরেই সকলের চুপ করে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তার পরেও ওরা (কংগ্রেস) বলতে হয় বলার অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। বিষয়টিকে সংসদে তুলল। বিতর্কে সংসদে পেরেও উঠলেন না তাঁরা। তবু থামেনি কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই চুক্তি (রাফাল) করে দেশের কয়েক হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিলেন। স্বাধীন সংস্থা হওয়ার সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি চলছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। কংগ্রেস তাকে ‘সংস্থার স্বাধীনতার উপর সরকারি আঘাত’ বলে আড়াল করার চেষ্টা করেছে।’’
আরও পড়ুন- পাঁচ জনসভা হচ্ছেই, বার্তা অমিত শাহের, শীর্ষনেতারা ছুটলেন জেলায় জেলায়
আরও পড়ুন- এইচ-ওয়ানবি ভিসা যাঁরা পান, তাঁদের খুব কম বেতনে কাজ করতে হয় আমেরিকায়, বলছে রিপোর্ট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy