Advertisement
১০ জুন ২০২৪
Rahul Gandhi

ভিডিয়ো আক্রমণ রাহুলের, আসরে বিজেপি সভাপতি 

রাহুলের বক্তব্য, লাদাখে যা্ চলছে তা নিছক সীমান্ত সমস্যা নয়। তাঁর কথায়, “আমার উদ্বেগের কারণ হল চিন আমাদের ভূখণ্ডে বসে রয়েছে। চিনারা কৌশলগত ভাবে না ভেবে কিছু করে না। তারা নিজেদের মতো করে মানচিত্র বানিয়ে সেই অনুযায়ী বিশ্বকে গড়ার চেষ্টা করছে।”

ছবি পিটিআই

ছবি পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৫
Share: Save:

চিন সংক্রান্ত রাহুল গাঁধীর প্রথম ভিডিয়োটির জবাব দিতে দু’দিন আগে আসরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আর আজ রাহুলের দ্বিতীয় ভিডিয়োটি প্রকাশের পর, সরব হলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, রাহুলের এই ভিডিয়ো-কৌশল এখনও পর্যন্ত সফল। বন্দুকের নিশানা আপাত ভাবে চিনের দিকে থাকলেও, দেশের ভিতরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল।

রাহুলের বক্তব্য, লাদাখে যা্ চলছে তা নিছক সীমান্ত সমস্যা নয়। তাঁর কথায়, “আমার উদ্বেগের কারণ হল চিন আমাদের ভূখণ্ডে বসে রয়েছে। চিনারা কৌশলগত ভাবে না ভেবে কিছু করে না। তারা নিজেদের মতো করে মানচিত্র বানিয়ে সেই অনুযায়ী বিশ্বকে গড়ার চেষ্টা করছে।” প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “চিনারা ভাল করেই জানে যে এক জন রাজনীতিক হিসাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাঁকে নিজের ছাপান্ন ইঞ্চির ভাবমূর্তিকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেই ধারণার মূলেই আঘাত করছে চিন। নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্য, আমরা যা বলছি তা যদি না-করা হয় তা হলে এক জন শক্তিশালী নেতা হিসাবে মোদীর ভাবমূর্তি আমরা ধ্বংস করে দেবো।” তাঁর কথায়, “এ বার প্রশ্ন হল নরেন্দ্র মোদী কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন? তিনি কি চিনের সঙ্গে সংঘাতে যাবেন? বলবেন যে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমার নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে কিছু যায় আসে না, আমি তোমাদের ছাড়ব না। নাকি উনি চাপের মুখে নতি স্বীকার করবেন? আমার উদ্বেগের কারণ এটাই যে এখনও পর্যন্ত মোদী নতি স্বীকার করেই রয়েছেন। আজও আমাদের ভূখণ্ডে চিন বসে রয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী জনসমক্ষে তা অস্বীকার করছেন। তিনি নিজের ভাবমূর্তি রক্ষাতেই ব্যস্ত ও চিন্তিত।”

রাহুলের এই ভিডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নড্ডা বলেন, “আপনারা দেখেছেন আজ আরও এক বার রাহুলকে সামনে আনার ব্যর্থ চেষ্টা হল। তিনি যথারীতি তথ্যে দুর্বল, কাদা ছোঁড়ায় মনোযোগী। দেশের প্রতিরক্ষা এবং বিদেশনীতি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টাতে এটা স্পষ্ট ১৯৬২ সালে দেশকে দুর্বল করার পাপ মুছতে গাঁধী পরিবার কতটা মরিয়া।”

প্রধানমন্ত্রীকে রাহুলের আক্রমণ প্রসঙ্গে নড্ডা বলেছেন, “সাম্প্রতিক অতীতে, তা সে ডোকলামই হোক বা এখনকার ঘটনা, রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বদলে চিনের ব্রিফিং নিতেই বেশি পছন্দ করেন। কেন এই বংশ পরম্পরা ভারতকে দুর্বল করে চিনকে শক্তিশালী করতে চায়?” চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনকে দেওয়া অনুদানের কথাও উল্লেখ করেছেন নড্ডা

অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আনন্দ শর্মার টুইট, “বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যে ভাবে দিশাহীন বিদেশনীতিকে লুকনোর চেষ্ট করছেন, তা বিস্ময়কর। শুধুমাত্র বাগাড়ম্বর এবং টুইটে বাস্তব বদলে যায় না। প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়া আমাদের বিদেশনীতির প্রথম কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকারের গা-ছাড়া আচরণে সেই নীতি আজ পথভ্রষ্ট।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rahul Gandhi BJP Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE