এ বার হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশের অভিযোগ তুলে সরব রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
ফেসবুকের পর এ বার হোয়াটসঅ্যাপ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট নিয়ে ফেসবুক-বিজেপি যোগসাজশের অভিযোগ ছিলই। চলছিল বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণ। এ বার তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপকেও জুড়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। আরও একটি মার্কিন পত্রিকার রিপোর্ট উল্লেখ করে কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন চালু করতে চায়। সেই সুযোগ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকেও নিয়ন্ত্রণ করে মোদী সরকার তথা বিজেপি।
জেনেশুনেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভারতের বিজেপি নেতাদের ঘৃণা-মন্তব্য মুছে ফেলতে চায় না— সম্প্রতি মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর একটি প্রতিবেদন ঘিরে দেশে তোলপাড় শুরু হয়। বিজেপি-আরএসএস ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ করে মোদী সরকারকে। তার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। রাহুলকে পাল্টা নিশানা করে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও বলেছিলেন, কোনও সংস্থা বা সংগঠন রাহুলের বিরুদ্ধে কথা বললেই তিনি মনে করেন, ওই সংস্থা বিজেপির চাপে কাজ করছে।
সেই বিতর্ক কিছুটা থিতু হয়ে আসার মুখেই মার্কিন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘টাইম ম্যাগাজিন’-এ প্রায় একই রকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের মূল বিষয়, ভারতের বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি তথা ভারতের শাসক দলকে চটাতে চায় না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনেও অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিজেপি নেতাদের ঘৃণা-মন্তব্য মুছে ফেলতে চায় না মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা।
আরও পড়ুন: কমলার চেয়ে অনেক বেশি যোগ্য ইভাঙ্কা, দাবি ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: এক দেশ এক ভোট-এ অগ্রগতি, একই ভোটার তালিকা তৈরির প্রস্তুতি
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেওয়ার পর থেকেই এই মেসেজিং অ্যাপের মালিকানাও মার্ক জাকারবার্গের। সেই সূত্রেই ফেসবুকের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপকেও জড়িয়ে আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিন বিজেপির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের যোগসাজশ ফাঁস করে দিয়েছে। ৪০ কোটি ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এই সংস্থা এখন চাইছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চালু করতে। তার জন্য মোদী সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এই ভাবেই হোয়াটসঅ্যাপের উপরেও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিজেপির।’’ অর্থাৎ রাহুলের ইঙ্গিত, যে হেতু মোদী সরকারের অনুমোদন দরকার হোয়াটসঅ্যাপের, তাই তারা বিজেপিকে চটাতে চায় না। অন্য দিকে মোদী সরকারও সেই সুযোগ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ-কে নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও বিজেপির তরফে এখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy