অভিযুক্ত ইমরত সিংহ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দিল্লির অভিজাত এলাকায় একটি বাড়ির বেসমেন্ট থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হল। মৃত ব্যক্তি ওই এলাকায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য এক নিরাপত্তা রক্ষী ওই ব্যক্তিকে নেশার ঘোরে খুন করেন। জেরায় অপরাধ কবুল করেছেন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিল্লির গ্রেটার কৈলাস-২ এলাকায় একটি বাড়ির বেসমেন্টে একটি অগ্নিদগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে বলে শুক্রবার দুপুরে খবর যায় দক্ষিণ দিল্লির সিআর পার্ক থানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। মৃত ব্যক্তিকে উত্তর প্রদেশের মইনপুরীর বাসিন্দা সরনম সিংহ (৫৬) বলে শনাক্ত করা হয়। ওই এলাকায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
ওই বেসমেন্টের পার্কিংয়েই ৫৬ বছরের ইমরত সিংহকে পাকড়াও করে পুলিশ। আদতে মধ্যেপ্রদেশের দামো জেলার বাসিন্দা তিনি। জেরায় পুলিশের কাছে অপরাধ কবুল করেন তিনি। জানান, নেশার ঘোরে সকাল ১১টা নাগাদ সরনম সিংহকে খুন করেন তিনি। তার পর তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: কোভিড দেখিয়ে দিল সমানাধিকার বহু দূরের স্বপ্ন, মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, আশ্বাস সেনাপ্রধান নরবণের
অভিযুক্ত ইমরত সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। পুরনো শত্রুতার জেরে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নোভেল করোনার প্রকোপে রাজধানী যখন যুঝছে, ঠিক সেই সময় এই খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
তবে এই প্রথম নয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে দিল্লিতে অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে চলেছে। গত সপ্তাহে এই দক্ষিণ দিল্লিতেই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)-র কাছে রাতের অন্ধকারে স্পাইসজেটে কর্মরত এক পাইলটের উপর চড়াও হয় ১০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেয় তারা। তাদের ছুরির আঘাতে আহতও হন ওই পাইলট।
এ ছাড়াও, রাতের অন্ধকারে গত কয়েক দিনে ওই এলাকায় একাধিক গাড়ির উপরও দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত লোকজনকে রোজ বেরতে হয়। পর পর ঘটে যাওয়া এই ধরনের ঘটনায় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy