Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
CBI vs Kolkata Police

তথ্য ফাঁসের ভয়েই কি রাজীবের জন্য এত ব্যাকুল মমতা? প্রশ্ন রবিশঙ্করের, তোপ রাহুলকেও

মমতার ধর্নায় বসা নিয়েও কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। বলেন, “ধর্নায় বসে মমতা তো অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন!” রবিশঙ্করের প্রশ্ন, “কী হচ্ছে এ সব? এক জন পুলিশ কমিশনার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ধর্নায় বসছেন এটাও দেখতে হচ্ছে! এর অর্থ কী?”

সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:০৪
Share: Save:

এক জন পুলিশ কমিশনারকে বাঁচানোর জন্য কেন এত ব্যাকুল মমতা? দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর মতে, এর থেকেই এটা স্পষ্ট যে পুলিশ কমিশনার চিট ফান্ড সংক্রান্ত অনেক কিছুই জানেন। সেই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই কি এত তত্পরতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর।

রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে যেতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সিবিআই আধিকারিকদের রীতিমতো ‘ঘাড় ধাক্কা’ দিয়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ। অনেক ক্ষণ তাঁদের আটক করেও রাখা হয়। সিপি-র বাড়িতে সিবিআইয়ের অভিযানের প্রতিবাদে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধর্নায় বসেন মমতা।

মমতার ধর্নায় বসা নিয়েও কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। বলেন, “ধর্নায় বসে মমতা তো অরবিন্দ কেজরীওয়ালের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন!” রবিশঙ্করের প্রশ্ন, “কী হচ্ছে এ সব? এক জন পুলিশ কমিশনার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ধর্নায় বসছেন এটাও দেখতে হচ্ছে! এর অর্থ কী?”

আরও পড়ুন: পাল্টা চাপের কৌশল! সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে নোটিস ধরাল কলকাতা পুলিশ

আরও পড়ুন: তথ্য লোপাটের প্রমাণ কই? সিবিআইকে বলল সুপ্রিম কোর্ট, কাল শুনানি

রবিশঙ্কর বলেন, ২০১৩-র ২৬ এপ্রিল বেআইনি অর্থলগ্নি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবং সেই দলের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। ওই সময় তিনি বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন। আর পশ্চিমবঙ্গে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কংগ্রেস। তার পর সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

মমতার ধর্না ঘিরে সারা দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলো আবার একজোট হয়েছে। অন্য দিকে বিজেপির শরিক দলগুলো এখনও এই কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ নিয়ে স্পষ্ট কোনও কথা বলেনি। বিজেপির পক্ষ থেকে সোমবার সকালে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রকাশ জাভড়েকর। প্রায় একই সুরে পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। শুধু মমতাই নন, এ দিন রাহুল গাঁধীকেও আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় রবিশঙ্কর।

২০১৪ সালের ৮ মে রাহুল গাঁধীর করা একটি টুইটের উল্লেখ করেন রবিশঙ্কর। “২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ পশ্চিমবঙ্গের দুর্নীতিতে টাকা হারিয়েছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়”— রাহুলের সেই টুইটের কথা তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজ রাহুল সিবিআই নিয়ে চিত্কার করছেন। কিন্তু ২০১৪-য় ওই টুইটের কথা মনে আছে কি তাঁর? সে দিন তো তিনি সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন।... আজ পুরো ইউ টার্ন করে গেলেন কী ভাবে?”

রবিশঙ্কর আরও বলেন, “রাজীব কুমারকে তিন বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সহযোগিতার জন্য ডিজির কাছেও আবেদন জানানো হয়। কিন্তু রাজ্যের তরফে সিবিআইকে কোনও রকম সহযোগিতা করা হয়নি।” কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর তাই প্রশ্ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করা কি তা হলে অন্যায়?

মহাজোট নিয়েও তোপ দাগেন রবিশঙ্কর। বলেন, “এটা গঠবন্ধন নয়, এটা সুবিধাবাদীদের জোট।”

(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেররাজ্যবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE