Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

চিটফান্ড রুখতে নয়া অর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের, বাড়তি ক্ষমতা তদন্তকারীদের

নয়া আইনে লগ্নিকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৪৮
Share: Save:

চিট ফান্ড রুখতে এবার অর্ডিন্যান্স নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অর্ডিন্যান্সের জোরে দেশের যে কোনও জায়গায় চিট ফান্ডের তদন্ত সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাতে তুলে নিতে পারবে। আলাদা করে রাজ্য সরকারের কোনও সম্মতির প্রয়োজন হবে না। আইনজীবীদের একটি বড় অংশের আশঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে সমস্ত রাজ্য সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের সম্মতি আবশ্যক বলে ঘোষণা করেছে, সেখানে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েন শুরু হতে পারে এই নয়া আইনকে ঘিরে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘দ্য ব্যানিং অব আনরেগুলেটেজ ডিপোসিট স্কিম ২০১৯’ নামে ওই বিল লোকসভায় পাশ হয়। কিন্তু ততদিনে রাজ্যসভার অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারি অর্ডিন্যান্স আকারে নিয়ে আসা হয় ওই আইন।কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “নতুন এই আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব বা তার উঁচু পদমর্যাদার আধিকারিকরা তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখা থেকে গোটা প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন। এই আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, অতিরিক্ত জেলা বিচারক বা তার উপরের আদালতে এই মামলার বিচার হবে।”

নয়া আইনে লগ্নিকারীদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। সারদা মামলার অন্যতম আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, “এই অর্ডিন্যান্স লগ্নিকারীদের সুরক্ষা নির্দিষ্ট করেছে। এতে লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিট ফান্ডের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সরল সংস্থান রাখা হয়েছে।” অন্য এক আইনজীবী বলেন, ‘‘লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: ফের তথ্যপ্রমাণ চেয়েও মোদীর কাছে ‘শান্তির সুযোগ’ চাইলেন ইমরান

আরও পড়ুন: দেশের পাঁচ বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী

অরিন্দমের আরও ব্যাখ্যা, “নতুন অর্ডিন্যান্সের বলে তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনও ব্যক্তিকে তলব করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তদন্তকারীদের। সেই সঙ্গে তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারীকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি দিতে বাধ্য যে কোনও সংস্থা।” এছাড়া অর্ডিন্যান্সে চিট ফান্ড সংস্থার মালিকদের অভিযুক্তের তালিকায় নির্দিষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে বা যাঁরা ওই ধরনের লগ্নির জন্য সুপারিশ বা প্রচার করবে তাঁরাও সমান ভাবে অভিযুক্ত। অর্থাৎ চিট ফান্ডের এজেন্টদের জন্যও থাকছে কড়া দাওয়াই। সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সংস্থান রাখা হয়েছে অর্ডিন্যান্সে। তেমনই লগ্নির দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা লগ্নিকারীকে জরিমানা হিসেবে ফেরত দিতে হবে ওই সংস্থাকে।

আইনজীবীরা যদিও এখনও নিশ্চিত নন, ইতিমধ্যেই যাঁরা বিভিন্ন চিট ফান্ড মামলায় অভিযুক্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে এই অর্ডিন্যান্সের ধারাগুলি লাগু হবে কি না। তবে তাঁরা মনে করছেন, অর্ডিন্যান্স নিয়ে দড়ি টানাটানি হতে পারে কেন্দ্র-রাজ্যের। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, গত পাঁচ বছর ধরে এ রাজ্যে চলা চিট ফান্ড তদন্তে বিভিন্ন সময়ে উঠে আসা সমস্যা এবং বাস্তব অসুবিধার দিকগুলো মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে নয়া অর্ডিন্যান্স।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chit Fund Saradha Scam BJP Ordinance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE