Advertisement
E-Paper

রাষ্ট্রপতি শাসনের বৈধতা নিয়ে মতভেদ সংবিধান বিশেষজ্ঞদের

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল শ্রীহরি আনে অবশ্য মনে করেন, ২৪ অক্টোবর ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে সরকার গড়ার জন্য সব দলই অনেক সময়ে পেয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০০
রাষ্ট্রপতি ভবন। —ছবি সংগৃহীত।

রাষ্ট্রপতি ভবন। —ছবি সংগৃহীত।

মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

বিজেপি, শিবসেনা ও এনসিপি-র মতো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সরকার গড়তে তারা ব্যর্থ— এই যুক্তি দেখিয়ে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। তাঁর সুপারিশ মেনে নিয়ে বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় রাজ্যপাল একপেশে ভূমিকা দেখিয়েছেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ উল্লাস বাপট বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি শাসনের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলা যেতে পারে। কারণ, রাজ্যপাল সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে দু’দিন সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু অন্য দু’টি দলের জন্য বরাদ্দ করেছেন ২৪ ঘণ্টা সময়। এতে মনে হতে পারে তিনি একপেশে মনোভাব দেখিয়েছেন।’’ বাপটের মতে, রাজ্যপালের উচিত ছিল শিবসেনা, এনসিপিকেও দু’দিন করে সময় দেওয়া। তাঁর যুক্তি, মহারাষ্ট্রে প্রধান রাজনৈতিক দল চারটি। রাজ্যপাল ডেকেছেন তিনটি দলকে। বাদ দিয়েছেন কংগ্রেসকে। ফলে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল শ্রীহরি আনে অবশ্য মনে করেন, ২৪ অক্টোবর ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে সরকার গড়ার জন্য সব দলই অনেক সময়ে পেয়েছে। আলোচনা করে নতুন সমীকরণ তৈরির সুযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও কেউ সরকার গড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছতে পারেনি। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল যদি বোঝেন, কেউই সরকার গড়তে পারছে না, তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতেই পারেন। আনে বলেন, ‘‘এখনও সব দলগুলির সামনেই সরকার গড়ার দাবি জানানোর সুযোগ থাকছে। নিজেদের ভিতরে আলোচনা করে সংখ্যা জোগাড়ের চেষ্টা করতে হবে তাদের। ফলে কোনও দল বেশি সময় পেল, কেউ ততটা পেল না, এমন কথা খাটে না।’’

দেশের প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল মোহন পরাশরন অবশ্য মনে করেন, রাজ্যপাল তাড়াহুড়ো করে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। যে দল দ্বিতীয় বৃহত্তম, তাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়ার তাড়া কিসের— প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আইনজীবী মিলিন্দ শাঠে মরাঠা সংরক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলাতেই রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি শাসন সাধারণত ছয় মাসের জন্যই করা হয়। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই অবশ্য এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর আগে, মহারাষ্ট্রে দু’বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। ১৯৮০ সালে ১১২ দিনের জন্য এবং ২০১৪ সালে ৩৪ দিনের জন্য।

President's Rule Article 356 Maharashtra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy