Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
national news

ভারতে তৈরি করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাজারে আসতে পারে অগস্টেই

যাতে ১৫ অগস্টের মধ্যেই এই টিকা বাজারে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য সব ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে বলা হয়‌েছে।

ভারতে বানানো করোনার প্রথম টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। -ফাইল ছবি।

ভারতে বানানো করোনার প্রথম টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। -ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ১১:৩৩
Share: Save:

ভারতে বানানো করোনার প্রথম টিকা বাজারে আসত‌ে পারে স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই। তার নাম- ‘কোভ্যাক্সিন’।

‘ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)’-এর সহযোগিতায় ওই টিকা বাজারে আনছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)’। বাজারে আনার আগে মানুষের উপর প্রয়োগ করে দ‌েখার জন্য (‘ক্লিনিক্যাল বা হিউম্যান ট্রায়াল’) দেশের অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে আইসিএমআর সূত্রের খবর।

গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোথাও করোনার কোনও টিকা বাজারে আসেনি। বেশ কয়েকটি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রথম দেশীয় করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য বিশাখাপত্তনম, রোহতক, দিল্লি, পটনা, বেলগাঁও (কর্নাটক), নাগপুর, গোরখপুর, হায়দরাবাদ, গোয়া, আর্য নগর, কানপুর ও কাট্টানকুলাথুরের (তামিলনাড়ু) প্রতিষ্ঠানগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে আইসিএমআর সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার, সুস্থও সর্বাধিক

আরও পড়ুন- ভারতে কেন কোভিড-মৃত্যু তুলনায় কম, আলো ফেলল ৪ বাঙালির গবেষণা​

ঢালাও ভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর জন্য দেশের ওই প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি দিয়েছে আইসিএমআর। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘টিকা বানানোর জন্য সার্স-কভ-২ ভাইরাসের স্ট্রেন সংগ্রহ করা হয়েছিল আইসিএমআর-এর অধীনে থাকা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে। টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আগে যা যা করণীয় আর ঢালাও ভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য যা যা করণীয়, বিবিআইএল-এর সহযোগিতায় সেই সবই করেছে ও করে চলেছে আইসিএমআর।’’

আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, খুব দেরি হলেও যাতে ১৫ অগস্টের মধ্যেই এই টিকা সকলের ব্যবহারের জন্য বাজারে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য সব ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্রুত শেষ করতে বলা হয়‌েছে দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে। সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য যে সরকারি অনুমোদন লাগে, দেরি না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিকে তা জোগাড় করে নিতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE