Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19 Vaccine

টিকায় অগ্রাধিকার করোনা-যোদ্ধাদের

টিকা আবিষ্কার হলে ভারতীয়রা সবাই তা বিনামূল্যে পাবেন কি না জানতে চাওয়া হলে পল বলেন, ‘‘টিকা প্রাথমিক স্তরে রয়েছে।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:২১
Share: Save:

করোনার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল।

টিকা আবিষ্কার হলে ভারতীয়রা সবাই তা বিনামূল্যে পাবেন কি না জানতে চাওয়া হলে পল বলেন, ‘‘টিকা প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কোনও দেশেই তা অপর্যাপ্ত হবে না, কারণ এই মুহূর্তে আমরা শূন্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। তাই প্রাথমিক ক্ষেত্রে টিকাকরণের বিষয়টিতে অগ্রাধিকার স্থির করতে হবে। এই অগ্রাধিকারের নীতি হল— স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অতিমারি-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং যাঁদের মৃত্যুর অতিরিক্ত ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের সুরক্ষিত করা। কত দূর যেতে হবে জানি না। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বাঁচাতে হবে। ভারতীয়দের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থ ও পরিকাঠামোর সমস্যা হবে না।’’

টিকাকরণ বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন পল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে তিনটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। এ ছাড়া আরও দু’টিকে পরীক্ষার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের যৌথ টিকা (কোভ্যাক্সিন) ও ক্যাডিলার টিকা— এই দু’টি ভারতীয় টিকা পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। তার ফল শীঘ্রই পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে। গবেষণা ও উৎপাদনের দিক থেকে এটিই সব চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সেটি সফল হলে টিকাকরণের পথও খুলবে। আমরা ২০২১ সালের গোড়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। তখন কোনও একটা আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’’

টিকা তৈরির বিষয়টি এগোচ্ছে বলে করোনা-প্রতিরোধের বুনিয়াদি সতর্কতায় যে ঢিলে দেওয়া চলবে না, তা ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন পল। তিনি জানিয়েছেন, ‘টেস্টিং, ট্র্যাকিং, ট্রেসিং, কন্টেনমেন্ট’-এর পাশাপাশি চিকিৎসা ও হাসপাতালের তরফে তৎপরতার বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক পরার কথাও ভুললে চলবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৯ দিন ধরে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষের নীচে রয়েছে। সুস্থতার হার ৯২.৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। মৃত্যুহার ১.৪৮ শতাংশ, যা ১ শতাংশের নীচে নামানোই কেন্দ্রের লক্ষ্য। তবে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় আবার ৫০ হাজার পেরোনোয় সংক্রমণের হার গত কালের চেয়ে ৫.৭ শতাংশ বেড়েছে।

চিন্তা বাড়ছে দিল্লিকে নিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে রোগী বেড়েছে ৭১৭৮ জন, যা সারা দেশে সর্বোচ্চ। দিল্লিতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ চলছে বলে মেনে নিয়েও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আশাবাদী, রোগীর সংখ্যা শীঘ্রই কমে আসবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির ৮০ শতাংশ শয্যা কোভিড রোগীদের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পরে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ অবকাশকালীন আর্জি দায়ের করেছে কেজরীবাল সরকার। ছত্তীসগঢ়ে কোভিড রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ দিকে, কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান আজ জানিয়েছেন, তিনি কোভিড পজ়িটিভ। তবে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COBID-19 Vaccine coronavirus Vaccination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE