Advertisement
E-Paper

রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসে বিদ্রোহ, তেলঙ্গানায় দল ছাড়ার হিড়িক, পঞ্জাবে বেসুরো সিধু

স্পিকার সেই অনুরোধ মেনে নিলে তেলঙ্গানা বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে কংগ্রেস।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৯ ১৭:২৩
অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির জেরে অন্তর্কোন্দল উত্তরোত্তর বাড়ছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেসে। কোথাও উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি। কোথাও বা কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দলে যাওয়ার হিড়িক। আবার কোথাও মুখ্য়মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্যাবিনেট মর্যাদার কোনও মন্ত্রী। দলীয় কোন্দলে কার্যত জেরবার পঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা। চলছে দলীয় নেতৃত্বের বাগবিতণ্ডা, প্রকাশ্যে।

তেলঙ্গানায় ভাঙতে চলেছে কংগ্রেস। দলের ১৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন তেলঙ্গানা বিধানসভার স্পিকার পি শ্রীনিবাস রেড্ডির সঙ্গে দেখা করে শাসক দল টিআরএসের সঙ্গে কংগ্রেস পরিষদীয় দলকে মিশিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্পিকার সেই অনুরোধ মেনে নিলে তেলঙ্গানা বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে কংগ্রেস।

বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের মুখ্য়মন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে ক্যাবিনেট মর্যাদার মন্ত্রী নভেজ্য়োত সিংহ সিধুর বিরোধ আরও প্রকট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির থেকেছেন সিধু। পঞ্জাব কংগ্রেস সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলে তাঁকে কম গুরুত্বের দফতর দেওয়া হতে পারে, এমন খবর পেয়েই এ দিন বৈঠকে গরহাজির থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিধু।

ও দিকে, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ইস্তফা ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লটকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসে। তার আগে ভোট-বিপর্যয় নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। কর্নাটকেও জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

১১৯ সদস্যের তেলঙ্গানা বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা ১৯ থেকে কমে ১৮ হয়েছে, নলগোন্ডা লোকসভা আসনে জয়ী হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম কুমার রেড্ডি ইস্তফা দেওয়ায়। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই কংগ্রেস ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যা কংগ্রেসের বিধায়ক-সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ। ফলে, তাঁরা টিআরএসে যোগ দিলে, তা দলত্যাগবিরোধী আইনের আওতায় পড়বে না। বিধানসভার স্পিকার যদি সেই অনুরোধ মেনে নেন, তা হলে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা কমে হবে ৬। তার ফলে, কংগ্রেস রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে। কারণ, হায়দরাবাদ লোকসভা আসনে জয়ী আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএমের ৭ সদস্য রয়েছেন তেলঙ্গানা বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ১। গত ডিসেম্বরে তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে টিআরএস জয়ী হয়েছিল ৮৮টি আসনে।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক গন্দ্রা বেঙ্কট রামানা রেড্ডি বলছেন, ‘’১২ জন বিধায়ক রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছেন। আমরা যে টিআরএসের সঙ্গে মিশে যেতে চাই লিখিত ভাবে স্পিকারকে আমরা সে কথা জানিয়েছি।’’

আরও পড়ুন- কোন্দল চরমে রাজস্থান কংগ্রেসে, গহলৌতকে সরিয়ে সচিনকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি​

আরও পড়ুন- ইস্তফায় এখনও অনড় রাহুল, কংগ্রেস ছন্নছাড়া​

তন্দুরের কংগ্রেস বিধায়ক রোহিত রেড্ডি আলাদা ভাবে দেখা করেছেন টিআরএসের কার্যনির্বাহী সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ছেলে কে টি রামা রাওয়ের সঙ্গে। তিনি শাসক দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শাসক দলে যোগ দেবেন বলে গত মার্চেই কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক ঘোষণা করেছিলেন।

TRS Telangana K Chandrashekar Rao Congress টিআরএস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy