উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করতে ‘মাতুশ্রী’তে পা রাখার আগে অমিত শাহ বলেছিলেন, শিবসেনা আমাদের সঙ্গে জোটে থেকেই ভোটে লড়বে। ‘মাতুশ্রী’ থেকে অমিত বেরোনোর পরে শিবসেনা জানিয়ে দিল, আমরা আলাদাই লড়ব। এবং এই বক্তব্যের কিছু পরেই আগামী ২৫ জুন চারটি কাউন্সিল নির্বাচনের মধ্যে তিনটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার কথা জানিয়েছে তারা।
চার বছর টানা উপেক্ষার পরে একটা বৈঠকে কিছু আশ্বাস দিলেই যে শিবসেনা নরম হবে না, তা বিলক্ষণ জানেন অমিত শাহ। তাই আজ তুলনায় বিশ্বস্ত শরিক অকালির শরণাপন্ন হলেন বিজেপি সভাপতি। যাতে শিবসেনাকে তারাও বোঝায় জোট না ছাড়তে। চণ্ডীগড়ে প্রকাশ ও সুখবীর সিংহ বাদলের সঙ্গে এ নিয়ে অমিতের বৈঠকের পরে সুখবীর বলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে কোনও বিবাদ নেই। অন্য শরিকদেরও আবেদন, এখন বিবাদ ভুলে এক সঙ্গে লড়ার সময়। হাতে ছ’মাসও নেই।’’
গত কাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অমিত। সেখানেই অমিত ও উদ্ধব একান্তে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন। সেই বৈঠকের পরে আজ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘অমিত শাহের এজেন্ডা সকলেই জানেন। শিবসেনা একলা চলার ব্যাপারে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সেই প্রস্তাবে বদল হচ্ছে না।’’
বিজেপি অবশ্য এতেও আশার আলোই দেখছে। তারা বলছে, অন্তত মোদী-বিরোধী শিবিরে যাওয়ার কথা তো বলেনি শিবসেনা। আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। আরও আলোচনা চলবে। অমিত ফের যাবেন মুম্বইয়ে। উদ্ধবের অনেক ক্ষোভ জমে রয়েছে। মহারাষ্ট্র এবং কেন্দ্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদ চান তিনি। সেগুলি নিয়েও আলোচনা হবে। অমিত শাহ একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। সব শরিকের সঙ্গে একান্ত আলোচনার পরে এনডিএ-র বৈঠকও শিগগিরই ডাকা হবে।
শিবসেনার বক্তব্য, বিজেপি সব সময়ই তাদের স্বাভাবিক মিত্র ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী জমানা শুরু হতেই শরিকদের উপেক্ষা শুরু হয়েছে। সঙ্গে ‘দাদাগিরি’। চার বছর উপেক্ষার পরে এখন ভোটের মুখে অমিত শরিকদের কাছে ছুটছেন। যা শুনে পদ্ম-শিবিরের পাল্টা দাবি, বিজেপি একটু দুর্বল হতেই শরিকরা দরকষাকষি শুরু করছেন। আলোচনা হলেই সব সমস্যা মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy