প্রাক্তন জেট এয়ারওয়েজ কর্তা নরেশ গয়াল। —ফাইল চিত্র
বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় অসঙ্গতি রয়েছে। সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আতস কাচের নীচে এ বার জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার নরেশ গয়াল। শুক্রবার দিল্লি ও মুম্বইয়ে তাঁর একাধিক বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালালেন ইডি আধিকারিকরা।
এ বছরের এপ্রিলেই নিজেদের সমস্ত উড়ান বন্ধ করে দেয় জেট এয়ারওয়েজ। তাদের বিরুদ্ধে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেমা)-এ চলছে সেই তদন্ত। সেই সূত্রেই এ দিন গয়ালের দিল্লি ও মুম্বইয়ের একাধিক বাড়ি-অফিসে হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে ওই তল্লাশিতে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা বা সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গিয়েছে কিনা,তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ইডি আধিকারিকরা।
২০১৪ সালে জেট প্রিভিলেজ লিমিটেড-এর শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমান সংস্থা এতিহাদ এয়ারওয়েজ। পরবর্তীকালে অভিযোগ ওঠে, ওই চুক্তিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম মানা হয়নি। সেই অভিযোগেরই তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি অভিযান বলে ইডি সূত্রে খবর।
আরও পডু়ন: ২৬ অগস্ট পর্যন্ত চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: ভিড়ের চাপে পাঁচিল ভাঙল কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৩, জখম ২৭
এ বছরের মার্চে জেট এয়ারওয়েজের ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন নরেশ গয়াল। প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় ওই সংস্থার সব উড়ান। রাতারাতি কাজ হারান সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মী। অথচ তার আগে পর্যন্ত ভারতের বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা ছিল জেট এয়ারওয়েজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy