শুজাত বুখারিকে হত্যার পর গাড়ি থেকে পিস্তল বের করছে জুবের কাইয়ুম। —পিটিআই
সাংবাদিক শুজাত বুখারি হত্যাকাণ্ডে এই প্রথম এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে জুবের কাইয়ুম মূল তিন অভিযুক্তে নয়। ঘটনার পর শুজাতের গাড়ি থেকে পিস্তল বার করতে দেখা যায় কাইয়ুমকে। তবে যে তিন আততায়ীকে বাইকে করে আসার ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে, তাদের কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, গুলিচালনার পর শুজাতের গাড়ি থেকে একটি পিস্তল বের করতে দেখা যায় ধৃত জুবের কাইয়ুমকে। সেই ছবির সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ‘রাইজিং কাশ্মীর’-এর সম্পাদক শুজাতের হত্যাকাণ্ডে এই প্রথম কোনও অভিয়ুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুজাত বুখারিকে গুলি করে খুনের পর ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করে পুলিশ। সেই ফুটেজেই ধরা পড়ে, সাদা কুর্তা পরা দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি শুজাতের গাড়ির ভিতর থেকে একটি পিস্তল বার করছে। এর পর শুজাত এবং তাঁর দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা-ও খুঁটিয়ে দেখছে সে। ফুটেজ পরীক্ষার পর ওই হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করে কাশ্মীর পুলিশ।
আরও পড়ুন: হারল বৃষ্টি, বুখারির শেষযাত্রায় জনঢল বারামুলায়
আরও পড়ুন: যানজটের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ, ঘোড়ায় চড়ে অফিসে পৌঁছলেন যুবক!
সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের কিছু ক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় জুবের কাইয়ুম। গাড়ি থেকে যে পিস্তলটি তাকে বার করতে দেখা গিয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কাশ্মীরের আইজি এস পি পানি জানিয়েছেন, ‘‘খুনের ঘটনার পর কেন জুবের সেখানে গিয়েছিল, সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও বিশ্বাসযোগ্য উত্তর দিতে পারেনি সে। পাশাপাশি, তার বয়ানে একাধিক অসঙ্গতিও রয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে একটি ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়ার পথেই খুন হন রাইজিং কাশ্মীরের সম্পাদক শুজাত বুখারি। তাঁর গাড়িতে থাকা নিরাপত্তারক্ষীও খুন হন। এর পরই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তে নামে কাশ্মীর পুলিশ।
এ দিন মূল অভিযুক্ত তিন আততায়ীর ছবিও প্রকাশ করে পুলিশ। তাতে দেখা যায়, সামনে একটি মোটরবাইকে করে শুজাতের গাড়ির সামনে আসছে হামলাকারীরা। বাইকচালকের মুখ হেলমেটে ঢাকা। মাঝে দ্বিতীয় জনের হাতে একটি বড় ব্যাগ। তবে তার মুখ চিহ্নিত করা যায়নি। আর পিছনে বসা তৃতীয় জনের মুখ মুখোশে ঢাকা। তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, দ্বিতীয় জনের হাতের ওই ব্যাগেই আগ্নেআস্ত্র রাখা ছিল।
তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ, আততায়ীরা লস্কর-ই-তৈবার হয়ে কাজ করছে। এই তিন জনকে চিহ্নিত করতে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy