রাস্তা আটকে সভাস্থল-ফিরতি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: পিটিআই।
সেই উত্তরপ্রদেশ। বুলন্দশহরের পরে এ বার গাজিপুর। জনতার হামলায় মৃত্যু হল পুলিশের।
শনিবার দুপুরে গাজিপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা হয়। সভাস্থল থেকে আসা গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে এক দল বিক্ষোভকারী। ৪৮ বছর বয়সি কনস্টেবল সুরেশ বৎসের মাথায় এসে লাগে পাথর। গুরুতর জখম অবস্থায় সুরেশকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিেয় সরব হয়েছে কংগ্রেস।
গাজিপুরের এসপি যশবীর সিংহ জানান, বিক্ষোভকারীরা ‘রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টি’র সদস্য। সংরক্ষণের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছে তারা। আজ মোদীর সভায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। সিংহ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সভা শেষ করে গাজিপুর ছেড়ে চলে গিয়েছেন শুনেই বিক্ষোভকারীরা হইচই শুরু করে দেয়। রাস্তা আটকে সভাস্থল-ফিরতি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে তারা। অবরোধকারীদের সরিয়ে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা করতে বলা হয়েছিল সুরেশকে। তিনি ভিড় সরাতে এগিয়ে যান। সেই সময়ে পাথর এসে লাগে মাথায়।’’
আরও পড়ুন: বারাণসী ও গাজিপুরে মোদীর সভা বয়কট করল বিজেপির দুই শরিক
ইতিমধ্যেই ‘রাষ্ট্রীয় নিষাদ পার্টি’র ১৫ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। সিসি-ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিংহ। জেলাশাসক এবং গাজিপুরের এসএসপি-কে অপরাধীদের দ্রুত খুঁজে বার করে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সুরেশের স্ত্রীকে ৪০ লক্ষ টাকা এবং মা-বাবাকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। ডিসেম্বরের শুরুতেই ‘গো-রক্ষকদের’ হামলায় নিহত হন ইনস্পেক্টর সুবোধকুমার সিংহ। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, ‘‘আদিত্যনাথের জঙ্গলরাজে সাধারণ মানুষ, পুলিশ কেউ নিরাপদ নন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy