প্রতীকী ছবি।
কী ছিনু, কী হনু! ভোটের পরেও শান্তিতে জিরোনোর জো নেই হনুমানের।
ফের তাঁকে ধরে টানাটানি শুরু হয়েছে। ভোটের আগে কেউ তাঁকে বলতেন দলিত, কেউ ব্রাহ্মণ। কারও কাছে আর্য, কারও বা আদিবাসী। গতকাল সেই বজরংবলী হয়েছেন মুসলমান। আর আজ হলেন জাঠ।
পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগে হনুমানের জাত-বিচার শুরু করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এখন তাঁর রাজ্যেই নেতারা ইচ্ছেমতো জাত-নির্দেশ করে চলেছেন।
মুলায়ম যাদবের দলে থাকতে বুক্কাল নবাব ‘মুলায়ম-চল্লিশা’ পড়তেন। এখন বিজেপিতে এসে হনুমানকেও মুসলিম বানিয়েছেন। যুক্তি: মুসলমানের যেমন নাম হয় রহমান, ফরমান, রমজান, তেমনই হনুমান। আর আজ যোগীরই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরীর কথায়, হনুমান ‘জাঠ’। কেন? মন্ত্রীমশাইয়ের ব্যাখ্যা, অন্যায় দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন জাঠেরা। সীতাহরণের পর হনুমান যেভাবে লঙ্কাপুরী জ্বালিয়ে ছারখার করেছিলেন!
আরও পড়ুন: নজরবন্দি গোটা দেশ
এসব কাণ্ড দেখে যোগী মন্ত্রিসভার ‘আধুনিক’ মুখ সিদ্ধার্থনাথ সিংহ একগাল হেসে বলছেন, ‘‘আহা! প্রমাণ তো হল যে হনুমান সকলের।’’ আর কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির নেতারা প্রকাশ্যে বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিজেপির নেতারা হনুমানের জাত-বিচার করেন, উপমুখ্যমন্ত্রী সীতাকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ বলেন। মানসিক চিকিৎসালয়ে ভর্তি হোন সকলে।’’ তবে সামগ্রিক ভাবে বিরোধীদের ব্যাখ্যা, কোনওটাই মাথা খারাপের ব্যামো নয়। পাঁচ রাজ্যে হেরেছে বিজেপি। রাহুল গাঁধী এখন নরেন্দ্র মোদীকে বাধ্য করছেন কৃষক নিয়ে কথা বলতে। রামমন্দিরও হচ্ছে না। অতএব হনুমানকে নিয়ে টানাটানি। যাতে আসল সঙ্কট থেকে মুখ ঘোরানো যায়।
বিজেপি থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত সাংসদ কীর্তি আজাদ ব্যঙ্গ করে আজ বললেন, ‘‘আমি তো শুনলাম, চিনারাও বলছেন হনুমান তাঁদের। চ্যান-হ্যানের মতো হনুমান।’’
আর বিরোধী নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, ‘‘বড়দিন আসছে। কেউ একজন বললেই হল, হনুমান ‘সান্তা ক্লজ়’ও ছিলেন। সেটা আর বাকি থাকে কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy