অমিত শাহ ও রাহুল গাঁধী।
লাদাখ হামলার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে শাসক শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। একে কুড়ি জন জওয়ানের মৃত্যু, তার মধ্যে রাহুলের প্রশ্নবাণ— উত্ত্যক্ত বিজেপি নেতৃত্বও। আজ সকালে রাহুল ফের মুখ খুলতেই পাল্টা আক্রমণে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে রাহুলের বিরুদ্ধে সরব হলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডাও।
লাদাখের ঘটনা নিয়ে রাহুলের সঙ্গে গোড়া থেকেই তাল ঠোকাঠুকি চলছিল বিজেপির। এর মধ্যে গত কাল সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কেউ অনুপ্রবেশ করেনি। বিরোধী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কালই। রাহুল আজ ফের সরকারের কাছে জানতে চান, ‘‘যদি কেউ না-ই ঢুকে থাকে, তা হলে ভারতীয় সেনারা কোথায় ও কী ভাবে মারা গেলেন?’’ বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সঙ্গে গত কাল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অনেকটাই ফারাক ছিল। তারই মধ্যে রাহুল এ নিয়ে ফের সরব হওয়ায় আসরে নামেন অমিত শাহ।
অমিত এ দিন টুইট করেন একটি ভিডিয়ো, যেটি গত কাল রাতে একটি টিভি চ্যানেল সামনে এনেছিল। ভিডিয়োতে গালওয়ানে আহত এক সেনার পিতা বলছেন, ভারতীয় সেনা যথেষ্ট শক্তিশালী। তারা চিনকে হারাতে সক্ষম। রাহুল গাঁধী যেন এ নিয়ে রাজনীতি না করেন। ‘‘আমার ছেলে সেনার হয়ে লড়েছে, ভবিষ্যতেও লড়বে,’’ বলেন তিনি। আনন্দবাজার এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি।
আরও পড়ুন: প্রকল্পের উদ্বোধন, তবে প্রশ্নের উত্তর নেই
আহত সেনার পিতার এই ভিডিয়োই টুইট করে আজ অমিত লেখেন, এক জন সাহসী সেনার পিতা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রাহুল গাঁধীকে। যখন গোটা দেশ একজোট, তখন রাহুলের উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে সংহতি দেখানো।
পরে কর্নাটকের জনগণের উদ্দেশে ‘জনসংবাদ জনসভা’তে রাহুলের নাম না করে জে পি নড্ডা বলেন, ‘‘যখন আমরা গালওয়ানে লড়াই করছি, তখন এক নেতা টুইট করে সেনার মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছেন, নিজের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছেন।’’ উত্তরে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘লাদাখের ব্যর্থতার কোনও জবাব নেই সরকারের কাছে। রাহুল গাঁধী প্রশ্ন তুলে সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে শুরু করেছেন। সেই কারণে শাসক দল রাহুলের মুখ বন্ধ করতে ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy