Advertisement
E-Paper

মিগের বিকল্প পেতে ফাইটার জেটের বৃহত্তম বরাত দিতে চলেছে ভারত

ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এই ফাইটার জেটগুলি কেনা হবে। এক সময় যে মিগ যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড ছিল, সেগুলিকে ধাপে ধাপে বাহিনী থেকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোভিয়েত যুগের ওই সব যুদ্ধবিমানের স্বাভাবিক কার্যকাল পেরিয়ে গিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ১৬:২০
বায়ুসেনার সক্ষমতার প্রশ্নে কোনও আপোস করতে চায় না প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই বিপুল সংখ্যক টুইট ইঞ্জিন ফাইটার জেট কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

বায়ুসেনার সক্ষমতার প্রশ্নে কোনও আপোস করতে চায় না প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই বিপুল সংখ্যক টুইট ইঞ্জিন ফাইটার জেট কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

নতুন ফাইটার জেট চাই ভারতীয় বায়ুসেনার। খুব তাড়াতাড়ি এবং বড় সংখ্যায় চাই। তাই ফাইটার জেট নির্মাণে বিশ্বের বৃহত্তম বরাতটি দিতে চলেছে নয়াদিল্লি। মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং-ই এই বরাত আদায় করে নেবে বলে সংস্থাটির কর্তারা আশাবাদী। তবে দৌড়ে রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার আরও বেশ কয়েকটি সামনের সারির বহুজাতিকও।

১১০টি ফাইটার জেটের বরাত পেশ করতে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এই ফাইটার জেটগুলি কেনা হবে। এক সময় যে মিগ যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড ছিল, সেগুলিকে ধাপে ধাপে বাহিনী থেকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোভিয়েত যুগের ওই সব যুদ্ধবিমানের স্বাভাবিক কার্যকাল পেরিয়ে গিয়েছে। মিগের সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য এখন বেশ কিছু নতুন ফাইটার জেট চাই ভারতীয় বাহিনীর। নতুন ফাইটার কেনার প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।

সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সম্মেলনের ফাঁকে বোয়িং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল ডিফেন্স সেলস) জিন কানিংহ্যাম জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনাকে ১১০টি ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট বিক্রি করার দৌড়ে তাঁর সংস্থা রয়েছে। বোয়িং ছাড়াও আর এক মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন, ব্রিটিশ সংস্থা বিএই সিস্টেমস এবং সুইডিশ সংস্থা সাব এবি। যে সংস্থাই বরাত পাক, মোট বরাতের অন্তত ৮৫ শতাংশ ফাইটার জেট ভারতেই তৈরি করতে হবে তাকে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতাতেই এই চুক্তিকে রাখতে চায় নয়াদিল্লি।

আগের চেয়ে অনেক উন্নত মানের ফাইটার জেট বর্তমানে ভারতের হাতে রয়েছে। কিন্তু মিগ বিমানুগুলি ধাপে ধাপে বসে যাওয়ায় যে শূন্যস্থান তৈরি হচ্ছে, তাও দ্রুত পূরণ হওয়া জরুরি। —ফাইল চিত্র।

ফাইটার জেট নির্মাণে বিশ্বের বৃহত্তম বরাত পেতে সামনের সারির প্রায় প্রতিটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থাই আগ্রহী। তাই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির শর্ত মেনে চুক্তিবদ্ধ হতে তাদের আপত্তি নেই। ভারত যদি বোয়িং-এর কাছ থেকে এফ/এ-১৮ সুপারহর্নেট ফাইটার জেট কেনে, তা হলে ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) এবং মাহীন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বোয়িং ওই যুদ্ধবিমান তৈরি করবে বলেও মার্কিন সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কানিংহ্যাম বলেছেন, ‘‘আমরা ভারতীয় শিল্পমহলকে চিনেছি, ভারতে এই সব প্রক্রিয়া কী ভাবে চলে, তা-ও বুঝে নিয়েছি।’’

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের শোপিয়ানে গ্রেনেড হামলায় জখম ১৬, দায় নিল জৈশ

১১০টি ফাইটার জেট কিনতে ভারত প্রায় ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করবে। প্রথমে নয়াদিল্লি স্থির করেছিল, মিগের বিকল্প হিসেবে মিগের মতো সিঙ্গল ইঞ্জিন ফাইটার জেটই কেনা হবে। কিন্তু পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সিদ্ধান্ত বদলায়। মিগের বিকল্প হিসেবে টুইন ইঞ্জিন জেটও কেনা হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তাতেই বোয়িং-এর কাছ থেকে এফ/এ-১৮ সুপারহর্নেট কেনার পথ খুলে যায়। কারণ ওই যুদ্ধবিমানগুলিও টুইন ইঞ্জিনের।

আরও পড়ুন: ১৪ মিনিট খোঁজ নেই সুষমার বিমানের

ভারতীয় নৌসেনাও ৫৭টি ফাইটার জেট কিনতে চলেছে। সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বায়ুসেনার জন্য ফাইটার কেনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই। যে সংস্থাগুলির সঙ্গে সে বিষয়ে নয়াদিল্লির চূড়ান্ত পর্যায়ের কথাবার্তা চলছে, তার মধ্যে বোয়িং-ও রয়েছে। কানিংহ্যামের ইঙ্গিত, নৌসেনার চুক্তি চূড়ান্ত হতে এখনও অন্তত এক বছর লাগবে। আর বায়ুসেনার ক্ষেত্রে তার পরে আরও এক বছর লাগবে। অর্থাৎ দু’বছরের মধ্যেই ফাইটার জেট নির্মাণের বৃহত্তম বরাতটি পেশ করতে চলেছে ভারত।

India Indian Air Force Fighter Jets Boeing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy