Advertisement
E-Paper

বালাকোটের ভিডিয়ো নেই, বলছে বায়ুসেনা

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরায় আকাশপথে হামলা চালায় বায়ুসেনা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৮
বালাকোট। বোমাবর্ষণের পর। ছবি: রয়টার্স।

বালাকোট। বোমাবর্ষণের পর। ছবি: রয়টার্স।

সবটা পরিকল্পনামাফিক হয়নি। শেষ মুহূর্তে বদল করতে হয়েছিল ছক। আর তাই বালাকোটের জঙ্গি ডেরায় হামলার ভিডিয়ো নেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে। বায়ুসেনার রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এক সংবাদ সংস্থায়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ডেরায় আকাশপথে হামলা চালায় বায়ুসেনা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাব দিতেই ওই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু তার পর থেকে বালাকোট নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ‘হামলার প্রমাণ কই’ বলে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, সম্প্রতি বায়ুসেনার রিপোর্টে তার জবাব দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সে দিন বালাকোটের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ নামে একটি ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র (আকাশ থেকে ভূমি) ছোড়ার কথাও ছিল। হামলার পাশাপাশি গোটা ঘটনা ভিডিয়ো করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি আর ছোড়া সম্ভব হয়নি। আর তাই সেনার হাতে ভিডিয়ো নেই। কেবল উপগ্রহ চিত্র রয়েছে। কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে সেগুলিও প্রকাশ্যে আনা নিষেধ। ভবিষ্যতে আনা হবে কি না, তা-ও স্পষ্ট জানানো হয়নি।

রিপোর্টে বায়ুসেনার দাবি, ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে বায়ুসেনার ‘মিরাজ ২০০০’ যুদ্ধবিমান বেশ কিছুটা নীচে নামে। তার পর সুযোগ বুঝে পাঁচটি ‘স্পাইস ২০০০’ পেনিট্রেটর গ্লাইড বোমা ফেলে। চারটি নিশানা ছিল ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তিনটিতে গিয়ে আঘাত করে তা। একটিতে ফেলা হয়েছিল তিনটি বোমা। অন্য দু’টিতে একটি করে বোমা ফেলা হয়। কিন্তু ‘ক্রিস্টাল মেজ়’-এর মতো লাইভ ভিডিয়ো করার ক্ষমতা নেই ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তাই আকাশপথে জঙ্গি ডেরায় হামলা চালানোর ভিডিয়ো নেই বায়ুসেনার কাছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বায়ুসেনার ওই সূত্রটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, সে দিন মেঘ অনেকটা নীচে ছিল। তার জন্যেই পূর্ব নির্ধারিত ভাবে ‘স্পাইস ২০০০’-এর সঙ্গে ছ’টি ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ উৎক্ষেপণ করা যায়নি। ঠিক ছিল এক সঙ্গে হামলা করবে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ ও ‘স্পাইস ২০০০’। শিবিরের উপরের তলায় হামলা চালানোর কথা ছিল ‘ক্রিস্টাল মেজ়’-এর। নীচের তলায় আঘাত হানত অন্যটি। জঙ্গি নিধনের পাশাপাশি শিবিরটিকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত তা হলে। জোড়া হামলা না হওয়ায় মিশন সম্পূর্ণ সফল হয়নি।

ও দিকে হামলার পরের দিনই ‘ইউরোপিয়ান স্পেস ইমেজিং’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান জেভেনবার্গেন জইশ শিবিরের কিছু ছবি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাতে হামলার কোনও চিহ্ন মেলেনি। বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছিল তাতে। প্রায় ‘অক্ষত’ শিবিরের জন্যও যে ‘ক্রিস্টাল মেজ়’ উৎক্ষেপণ করতে না পারাই দায়ী, রিপোর্টে সেই ইঙ্গিত।

আরও একটি বিষয় স্বীকার করে নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কার্গিল যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানের বায়ুসেনা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তুলনায় ভারত কিছুটা পিছিয়ে। নিজেদের খামতি দ্রুত সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে। তারা জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রযুক্তি হাতে থাকলে বালাকোটের পরে পাক বায়ুসেনার হামলার সময়ে তাদের আরও শিক্ষা দেওয়া যেত।

India Pakistan Conflicts Pulwama Terror Attack Indian Air Strike Kashmir Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy