Advertisement
E-Paper

‘গাজা’কে হারিয়ে ‘বাহুবলী’র লক্ষ্যভেদ! কক্ষপথে পৌঁছে কাজ শুরু করল জিস্যাট-২৯

ঠিক বিকেল পাঁচটা ৮ মিনিটে নির্ধারিত সময়েই কক্ষপথে পৌঁছে গেল জিস্যাট-২৯। সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৯:০৫
জিস্যাট-২৯ উৎক্ষেপণের পর। শ্রীহরিকোটায়। ছবি: এএফপি

জিস্যাট-২৯ উৎক্ষেপণের পর। শ্রীহরিকোটায়। ছবি: এএফপি

সাইক্লোন ‘গাজা’র ভ্রুকূটি ছিল। নতুন লঞ্চ প্যাডে প্রথমবার উৎক্ষেপণ। তার উপর বিপুল ওজন। কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা উড়িয়েই মহাকাশে পাড়ি দিল ‘বাহুবলী’। ভারতের সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট বা জিস্যাট-২৯ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে বুধবার শুধু উড়লই না, ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করলেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

সফল উৎক্ষেপণের সঙ্গে সঙ্গেই ইসরোর কর্মী-বিজ্ঞানীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান কে সিবনকে। চেয়ারম্যান অবশ্য সব কৃতিত্ব দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীদেরই। জম্মু কাশ্মীর-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবায় সাহায্য করবে নয়া এই স্যাটেলাইট, জানিয়েছেন কে সিবন।

দুপুর দু’টো ৫০ মিনিট। শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টারে শুরু হল কাউন্টডাউন। নিরন্তর মনিটরে চোখ রেখে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। ঠিক বিকেল পাঁচটা ৮ মিনিটে নির্ধারিত সময়েই কক্ষপথে পৌঁছে গেল জিস্যাট-২৯। সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে ইসরোর বিজ্ঞানীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

আরও পড়ুন: তীব্র গতি, আকাশ আলো করা ঝলকানি! বিমান থেকে কী দেখলেন পাইলটরা?

৩৪২৩ কিলোগ্রাম ওজনের এই স্যাটেলাইটই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে ভারী স্যাটেলাইট। সেই কারণেই ‘বাহুবলী’ নামেও বিজ্ঞানী মহলে পরিচিতি পেয়েছে। শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা ৬৭তম এবং জিস্যাট গোত্রের ৩৩তম স্যাটেলাইট এটি।

শ্রীহরিকোটায় জিএসএলভি এমকে-৩-ডি২ লঞ্চ প্যা়ড। ছবি: পিটিআই

আরও পড়ুন: দরকার নেই কাশ্মীর, আগে নিজেদের চারটি প্রদেশ সামলাক পাক সরকার: আফ্রিদি

অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে সাইক্লোন ‘গাজা’র প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে উৎক্ষেপণে সমস্যা হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল। আবার জিস্যাট ২৯ উৎক্ষেপণ হল নতুন লঞ্চপ্যাড জিএসএলভি এমকে-৩-ডি২ থেকে। এই লঞ্চপ্যাডটিও সবচেয়ে বড়। ৬৪১টন বা ৬৪১০ কুইন্টাল ওজনের এই লঞ্চপ্যাডটি পাঁচটি সম্পূর্ণ ভর্তি বিমানের সমান, ৪৩ মিটার দীর্ঘ, ১৩ তলা ভবনের চেয়েও উঁচু। বাহুবলীর উৎক্ষেপণের পর থেকেই চালু হয়ে গেল এই লঞ্চপ্যাড। ফলে সেটাও ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সব কিছু পরিকল্পনা মতোই শেষ হয়েছে। আগামী বছরের গোড়ায় ‘চন্দ্রায়ন’ অভিযানও এই লঞ্চপ্যাড থেকেই হবে।

দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।

Sriharikota Satellite ISRO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy