মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কাফিল খান। ছবি: পিটিআই।
সাত মাস পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে এক হাত নিলেন কাফিল খান। তাঁর অভিযোগ, রাজধর্ম পালন না করে ছেলেমানুষি জেদ দেখাতেই ব্যস্ত যোগী। সেই সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিকাশ দুবের এনকাউন্টার প্রসঙ্গ টেনেও রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেন তিনি। বলেন ‘‘স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, মুম্বই থেকে মথুরা আনার পথে আমার এনকাউন্টার হয়ে যায়নি।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আলিগড়ে বক্তৃতা দেওয়ায় গত ২৯ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কাফিল খান। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনও প্রয়োগ করা হয়। সেই থেকে গত সাত মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। কিন্তু বেআইনি ভাবে তাঁকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে মঙ্গলবার রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
তার পর মঙ্গলবার রাতেই জেলের বাইরে বেরিয়ে আসেন কাফিল খান। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘এই রায়ের জন্য বিচারব্যবস্থার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আদালতের রায়েই পরিষ্কার যে, হিংসায় ইন্ধন জোগাতে বক্তৃতা করিনি আমি। এসটিএফ-এর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ যে, মুম্বই থেকে মথুরা আনার পথে আমার এনকাউন্টার হয়নি।’’
আরও পড়ুন: পাঁচ দিনে তিন হাজার কোটি পিএম কেয়ার্সে, কাদের টাকা, প্রশ্ন চিদম্বরমের
আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশনে সরকারকে কোনও প্রশ্ন নয়! গর্জে উঠল বিরোধী শিবির
এর পর রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে কাফিল খান বলেন, ‘‘রামায়ণে মহর্ষি বাল্মীকি বলেছিলেন, রাজার রাজধর্ম পালন করা উচিত। উত্তরপ্রদেশে রাজা মোটেই তা করছেন না। বরং ছেলেমানুষি জেদ দেখাতেই ব্যস্ত তিনি।’’
তবে আদালতের নির্দেশের পরেও জেল থেকে কাফিল খানকে বার করে আনতে কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি তাঁর পরিবারকে। আদালতের তরফে অবিলম্বে কাফিল খানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, মথুরার জেল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁকে আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও স্থির করেন তাঁরা। তবে দেরি হলেও, শেষ মেশ ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে আসেন কাফিল খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy