Advertisement
০৪ মে ২০২৪

খাদের কিনারায় কর্নাটক সরকার, ইস্তফার হিড়িক কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের

যদিও তাঁদেরই এক জন পরে দাবি করেছেন, তিনি ইস্তফা দেননি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৪
Share: Save:

পড়ি পড়ি দশা বেশ কিছু দিন ধরেই। কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী বিধায়কদের একাংশের মুখের কথা ধরলে, দু’দলের মিলিয়ে মোট ১৪ জন বিধায়ক আজ ইস্তফা দেওয়ায় কর্নাটকে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। সরকার পড়ে যাওয়াটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। যদিও তাঁদেরই এক জন পরে দাবি করেছেন, তিনি ইস্তফা দেননি।

কাগজে-কলমে এখনও টিকে রয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। স্পিকার জানিয়েছেন, সোমবার বিধায়কদের ইস্তফার বিষয়টি দেখবেন। সে দিনই তিনি ১৩ জনের ইস্তফা গ্রহণ করলে ২২৪ আসনের বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাটা ১১৩ থেকে নেমে আসবে ১০৬-এ। এবং এইচ ডি কুমারস্বামীর শক্তি ১১৮ থেকে কমে হবে ১০৫। স্পিকারের কাস্টিং ভোট পেলে জাদুসংখ্যা ছুঁতে পারবেন তিনি। ১০৫ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি তখনও গরিষ্ঠতার চেয়ে ১ পিছিয়ে থাকবে। বিজেপি অবশ্য কোমর বেঁধে তৈরি সরকার গড়তে।

মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী এই মুহূর্তে আমেরিকায়। গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। তড়িঘড়ি ফিরে আসছেন আগামিকাল। আজও তিনি বলেছেন, ‘‘সঙ্কট নেই। সরকার টিকে থাকবে।’’ দিল্লিতে গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মল্লিকার্জুন খড়্গেরও দাবি, ‘‘চেষ্টা হচ্ছে। সরকার পড়বে না।’’ কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মোদী মানে হল মিসচিভাসলি অর্কেস্ট্রেটেড ডিফেকশন ইন ইন্ডিয়া।’’

এই পরিস্থিতিতে কুমারস্বামীর সরকার বাঁচাতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে কংগ্রেসে। এ দিন দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু যান এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক বেণুগোপাল। আসরে নেমেছেন কর্নাটকে কংগ্রেসের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে পরিচিত নেতা ও মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। বিধায়কদের বোঝাচ্ছেন তিনি।

এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘রিসর্ট রাজনীতি’ও। ইস্তফা দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ১০ জন এ দিন রাতে মুম্বই চলে গিয়েছেন। সেখানে কোনও হোটেলে তাঁদের রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। গত জানুয়ারিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিষদীয় বৈঠকের আগে কংগ্রেসও তাদের বিধায়কদের রিসর্টে নিয়ে গিয়ে রেখেছিল। ২০১৭ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতেও একই কাজ করেছিল কংগ্রেস।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিএস ইয়েদুরাপ্পার বক্তব্য, ‘‘প্রতিপক্ষের শিবিরে যা ঘটছে, তার সঙ্গে আমার বা আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Karnataka JDS Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE