মিলন: বাবার জন্মদিনে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপ যাদব। নিজস্ব চিত্র
৭০ পেরোলেন লালুপ্রসাদ। বাবার জন্মদিনে একসঙ্গে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে এসে বিরোধের জল্পনায় জল ঢালতে চাইলেন দুই ছেলে। রাবড়ীদেবীর সরকারি বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে আজ মায়ের সামনে একসঙ্গে কেক কাটেন দু’জনে। বাড়িতে থাকলেও কেক কাটার এই মিলন পর্বে হাজির ছিলেন না লালুপ্রসাদ।
দিন দুই আগে প্রকাশ্যে দলের বেশ কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে ‘ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে’ লড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। তার পরেই মানভঞ্জনে নামেন আরজেডি-র নেতা-কর্মীরা। তেজপ্রতাপের অভিযোগের তির ছিল দলের রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র পূর্বের বিরুদ্ধে। এ দিন কেক কাটার সময়ে হাজির ছিলেন রামচন্দ্রও। তিনিও এ দিন তেজপ্রতাপের ঢালাও প্রশংসা করেন। তেজপ্রতাপের ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত বলে খবর।
জন্মদিনে লালুকে কেন দেখা গেল না? পরিবারের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনি অসুস্থ থাকায় হাজির হতে পারবেন না। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ছ’সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন তিনি। জামিনের শর্ত হিসেবেই জনসমক্ষে হাজির হননি আরজেডি সভাপতি। তবে পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে তেজপ্রতাপকে নিজের কাছে ডাকেন লালুপ্রসাদ। বাবাকে প্রণাম করেন তেজপ্রতাপ। এর পরে ছেলেকে আশীর্বাদ করে ভাইকে নিয়ে একসঙ্গে কেক কাটতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লঙ্কেশ খুনে হিন্দু সংগঠন
তেজস্বী এ দিন প্রথম থেকেই দাদা তেজপ্রতাপকে সামনে এগিয়ে দিচ্ছিলেন। তেজপ্রতাপের হাতে ধরে কেক কাটতে সাহায্য করেন তেজস্বী। মা রাবড়ীকে খাওয়ান। কেক কাটার পর্বের পরে রাবড়ী বলেন, ‘‘গোটাটাই সংবাদমাধ্যমের রটনা। পরিবারে কোনও গোলমাল নেই। দুই ভাই একসঙ্গে রয়েছে।’’ এত দিন সমস্ত বৈঠকে এবং সভায় শুধু তেজস্বীর নাম করতেন রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র। এ দিন কিন্তু তেজপ্রতাপকে সম্বোধন করেই দলীয় কর্মীদের ভাষণ দেন তিনি। গুরুত্ব পেয়ে কিছুটা খুশিই লালুর বড়ছেলে। বলেছেন, ‘‘সব কিছু এখন ঠিক আছে।’’ নিজের জন্মদিনে দুই ছেলের গোলমাল সামলে নিয়ে খুশি লালুও। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy