পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কখনও কালি বা লঙ্কার গুঁড়ো, কখনও বা তাঁকে লক্ষ্য করেছোড়া হয়েছে জুতো। আবার সপাটে চড়ও খেতে হয়েছে তাঁকে।রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই এ ধরনের হামলা করা হয়েছে বলে বরাবর দাবি করে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এ বার তাঁর দাবি, ইন্দিরা গাঁধীর মতো তাঁকেওখুন করা হতে পারে। এবং তা করাতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি-ই! তবে কেজরীবালের এই দাবি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি বিজেপি।
আম আদমি পার্টি (আপ)-র হয়ে নির্বাচনী প্রচারে পঞ্জাবে গিয়েছিলেন কেজরীবাল। পঞ্জাবের ১৩টি লোকসভা আসনের সবক’টিতেই আগামিকাল নির্বাচন। আপ সেখানে ১৩টি আসনেই লড়ছে। এ দিন সেখানে সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ইন্দিরা গাঁধীর মতোই এক দিন নিজের দেহরক্ষীকে দিয়ে খুন করা হতে পারে আমাকে।” কে তাঁকে খুন করার চক্রান্ত করছে? এ প্রশ্নের উত্তরে কেজরীবালের দাবি, “বিজেপি আমাকে মেরে ফেলতে পারে। এক দিন ওরাই আমাকে খুন করবে।” কেজরীবালের আরও দাবি, তাঁর নিজের দেহরক্ষীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে রিপোর্ট করে। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই ভোট দেন।
চলতি মাসের গোড়াতেই অরবিন্দ কেজরীবালের উপর হামলা হয়েছিল। দিল্লির মোতিনগর এলাকায় একটি রোড শো চলাকালীন তাঁর হুডখোলা জিপে উঠে পড়েন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। এর পর কেজরীবালকে সপাটে চড় মারেন তিনি। পরে অবশ্য পুলিশ হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ওই ব্যক্তির দাবি ছিল, তিনি আপের প্রাক্তন সমর্থক।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের দাবি করেছেন কেজরীবাল। ২০১৬-তে ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিয়ো-বার্তায় কেজরীবালের দাবি ছিল, তাঁকে খুন করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ যা খুশি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কেদারনাথ মন্দিরে ধ্যানে বসলেন নরেন্দ্র মোদী, সোমনাথ মন্দিরে পুজো অমিতের
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ চন্দ্রবাবুর, ‘রাজ্যের স্বার্থে’ নমনীয় বিজেডি
কেজরীবালের এই বিস্ফোরক দাবি নিয়ে এ দিন বিকেল পর্যন্ত বিজেপি-র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পুলিশের উপস্থিতিতেই অন্তত ছ’বার আক্রান্ত হয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল।” চড় মারার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তাঁর দাবি, “ওই ঘটনার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের প্রতি আমাদের আস্থা নেই।”
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy